আমার আর কিছু না থাকুক একটা বিরাট নীল আকাশ আছে,
আমি আমার কষ্টগুলোকে জমিয়ে রাখি আকাশের গাঁয়ে, মাঝে মাঝে তারাদের সাথে গল্পে মেতে ওঠে আমার কষ্টেরা, কিভাবে বিষাদে ঘেরা দুঃখাবহ জীবনের অবসানে তারকা হয়ে ঝুলে আছে আকাশের গাঁয়ে।
নক্ষত্রের রুপোলি রাত্রিতে আমার স্মৃতি যখন বিষাদিত মনের বেদনার্ত অশ্রু হয়ে কপোল বেয়ে নামে, তখন সেই তারকাদের সঙ্গি হই আমি, চাঁদটাকে বলি, তুমি এবার আলোটা নিভিয়ে দাও, আমি কষ্টের পুথি শোনাবো পৃথিবীপতিকে, এলোমেলো সমীরের মাঝে গুঞ্জন তুলবে আমার হৃদপিণ্ডের জমানো যাতনা।
পৃথিবী ধীরে ধীরে আঁধারে ভরে যায়, সবার গ্লানিগুলো ঢেকে যায়, দুঃখগুলো বের হয়ে আসে তখন। আমার বিস্মৃত স্মৃতিগুলো ঘুরে ফেরে আমার সেই বিশাল আকাশপটে। আমার গগনচারী তখন আমাকে ভুলে থাকে, সুখস্মৃতি নিয়ে রঙ্গিন করে তোলে তার জগত। আমাকে ভুলে থাকে, আমাকে ভুলে থাকে পৃথিবী, বাতাস,প্রকৃতি। আমার সম্বল তখন শুধুই আমার সেই বিশাল আকাশ, দুঃখের পুঁথিমালা, ঝুলে থাকা তারা, নিভে যাওয়া চাঁদ, না-জ্বলা নক্ষত্র।
আমি বিস্মরণের জগতী সন্তান হয়েই কাটিয়ে দেই জমানো দীর্ঘশ্বাসের সাথে।