অন্যত্র সময়গুলো কাটলেও
ক্লাসোত্তর নিভৃত আশার দর্পণে আমি মুখিয়ে থাকি,
বন্ধুত্বের চাঁদোয়ায়।
অস্পষ্ট সময়গুলো চললেও
একটি নিয়নবাতি জ্বলে থাকে আশেপাশেই,
বন্ধুত্বের আধারিত গগনে।
এইযে মানুষ,
এইযে এত এত পরিচিত
ঠুনকো অবভাসে ভাঙ্গাচুরা মনে তারা ফিরে ফিরে তাকায়,
অল্পত্ব নিয়ে আমি তখন গবেষণা করি,
আমার মম মাঝে ভাবনা দ্রুত এগোতে থাকে,
আচ্ছা, যখন শুধু কুশলাদিতেই বন্ধুত্ব সীমাবদ্ধ করেছি
তখন 'মহিমা'কে মনে পরে!
চিরকালের পথ, পথ চলে যায়
চিরকালের চেনাজানা, সম্বন্ধ থেকে যায়
মহিমাকে মনে পরে,
যে রঙে মোড়ানো মন নিয়ে মিশে যায় সবার সাথে,
ছেলেমানুষি হাবভাব, অথচ হাসিহাসি খেলায় সে জিতে যায়,
ক্লাসঘর ক্লান্ত, অথচ ক্ষণগুলো দিব্যি সে তাজা রেখে যায়,
আমরা সবাই ব্যস্ত, অথচ আমাদের সে খুশি বিকিয়ে যায়।
একদিন বন্ধুত্বের আকূতি মেশানো মন নিয়ে ভাবতে ভাবতেই আবিষ্কার করলাম,
কলা ভবনের চারতলার নিয়নবাতিটি সেই-ই
ক্লাসোত্তর নিভৃত দর্পণ সেই-ই!