প্রিয়তমা!
এখানে তোমার কি আছে?
ঘনবরফের স্মৃতি!
শীতের কুহেলীতে চাঁদরে জড়ানো ওম!
ঝড়েপরা হলুদপাতার উপড় একফোটা শিশির,
না!
শিশির-টিশির কিছু নেই
জ্যোছনাপিড়ীত কিছু বেদনাময় রাত,
আঁধারে কপর্দকহীন গোপন দীর্ঘশ্বাস,
এক জ্যান্ত দুপুর!
প্রখর গ্রীষ্মের দুপুর,
প্রেমবিন্দু ছিটানো ঘামঝরা দুপুরের তপ্তহাওয়া,
না,কিছুই নেই
এখানে কিছুই নেই তোমার।
প্রিয়তমা!
এখানে দিগন্তমোহে আমি মাঝেমধ্যে অবাক হয়ে দেখি
আমার প্রেমকাল।
আকাশের নীলকোনাটায় একটা শ্বেতপত্র উড়তে থাকে,
দখিনা হাওয়া হৃদয়ের অলিগলিতে কাঁটাহয়ে প্রবেশ করে,
এখানে রজনী নীলাভ আলোয় হঠাৎ চাঁদ ওঠে,
কিছু ব্যার্থ প্রেমউচ্ছাস নিয়ে অসহ্য আলো হয়ে
অনেকক্ষন থাকে সেই চন্দ্র!
এখানে একটি বকুল গাছ আছে,
বকুলফুলের উদাসকরা সেই সৌরভ আর নেই|
এখানে অনেক রকম ফুল আছে,
কিন্তু কোন ফুলের শোভা নেই!
এখানে বসন্ত আছে,
কিন্তু কোকিলের কুহুকুহু গান নেই
তুমি চলেগেছ বলে ওরাও চলে গেছে
হয়তো তোমার পিছু পিছু!
প্রিয়তমা!
এখানে তোমার কিছুই নেই
তবে কেন আস প্রতিক্ষণে?
এখন আমি আর সহ্য করতে পারিনা তোমায়!
তোমার বসন্ত,কোকিলের গান
সমস্ত ফুলের শোভা,
তোমার কাছেই ফিরে গেছে!
প্রিয়তমা!
চৈত্র খাঁ খাঁ হৃদয়ে প্রেম আজ মরুদ্যান,
সব প্রেম তোমায় অঞ্জলী দিয়েছি বলে
প্লিজ আর এসোনা,
এ মরুদ্যানে আগুন জ্বালাতে।।