রজনী,
তুমি চলে গেলে
রেখে গেলে স্বপ্নভাঙ্গার বেদনা,
রৌদ্রদগ্ধ চৈত্রের দুপুরে
দিয়ে গেলে তৃষ্ণার্ত কাকের যাতনা|
রজনী,
হঠাৎ কোন এক নিরব প্রকৃতির বেড়াজাল ভেঙ্গে
কাঠফাটা চৌচির মাঠের মনে শীতলধারা বহাতে,
আকাশের জমানো কষ্টের লুকানো জলধারা
বেয়ে নামে প্রশান্তির বারি,
তখন আমার মনের জানালা বেয়ে নামে
শীতের শিশিরধারা|
রজনী,
আহামরি কিছু নয়,
প্রকৃতির রুপপসরায় সাজানো এই রঙ্গিণ পৃথিবী,
তোমার কাজলমাখা চোখের চাহনীর কাছে!
তোমার সেই চাহনীতে চোখ রেখেছিলাম বলে
আজ এত যাতনা,
সুখনদীতে স্নান করতে করতে কখনযে তলিয়ে গেছি কষ্ট সমুদ্রের অতল তলে,
তাইতো নীলমেঘের কষ্টগুলো উড়ো হাওয়া হয়ে
এসে ঘোরে শুধু আমার আকাশে|
সমুদ্রের বিশাল উর্মিমালা নিস্তব্ধ হয়ে,
শুধু বয়ে যায় নীল কষ্ট হয়ে|
আর আমার পৃথিবী ছেয়ে যায় কালো আঁধারে|