যে মেয়েটি পদপিষ্ট হয়েছিল বারাণসীর মেলায়,
কটমট করে হাড়গুলো ভেঙেছিল জোড়ায় জোড়ায়।
কোনক্রমেই তার নিঃশ্বাস বেঁচেছিল সেই দিন।
পুণ্যার্থীদের পদচারণায় তার জীবন হলো সঙ্গীন।
সেদিনের লাথির ঘাগুলো শুকায়নি তার আজও,
হাতপেতে আজও বলে-"বাবা! হামকো পেসা দিও।"
শুনেছিলাম-"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় চাঁদ।"
সেই ক্ষুধাই সেজেছিল- সেইদিন মেয়েটির মৃত্যুফাঁদ।
শকুনেরা কি উড়ে আজও- যারা শবদেহ খাবে?
তবে হায়! কেউ আছে মহাসুখে কেউ বড় অভাবে।
গনতন্ত্র অথবা সমাজতন্ত্র সবই মিথ্যার বেড়াজাল।
বঞ্চিত গরীবেরা আজও মানবিকতার বড়ই আকাল।
********
তাং: ০৬/০৬/২০১৮ ইং
২১ আষাঢ়,১৪২৫ বাংলা
সকাল: ৭.০৯
নিজ বাসভবন,ধর্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত