শহরের পাগলীটা মা হয়েছে,
একটা হৈ হৈ ছুটাছুটি...
কানা ঘোষা অপবাদ আর গালি গালাজ!
সন্তান প্রসবের জন্য-
মেয়েটি হাসপাতাল পায়নি।
গতরাতে প্রসব বেদনায় চ্যাঁচিয়েছিল হয়তো,
কেউ শুনেনি আর শুনলেও বা-
কি আসে যায় পথিকের!
নোংরা বেশভূষা গায়ে দুর্গন্ধ,
নাকে রুমাল চেপে ভদ্রলোকেদের ভীড়!
চরিত্র নিয়ে কথা-
নষ্টা মেয়ে পাগলীর চরিত্র!
কেউ বলে-লাঠি পেটা করে শহরের
বাহিরে তাড়িয়ে দাও।
আবার কেউ কেউ বলে রাতের ট্রেনে
তুলে দাও,চলে যাবে নিরুদ্দেশ্যে!
কারণটা কি?
শহরের পরিবেশ সুন্দর করা বটে!
বলতে বলতে দু'চারটি ছেলে-পুরুষ,
বাঁশের লাঠি হাতে তাড়িয়ে আসল-
'ওঠ্ ! ওঠ্ ! তাড়াতাড়ি ওঠ্!
নইলে বাঁশের ঘায়ে পিঠ ফাটিয়ে দেব!'
নিরুপায় মহিলা কোন মতে উঠে দাঁড়ালো,
নবজাত শিশুটিও কেঁদে উঠল!
পাগলী তার ভাঙা মাটির থালাখানা-
ছুড়ে দিল ভিড়ের ভেতর-
অজানা কারো লক্ষ্যে!
বাঁ হাতে অপত্য তোলে নিল কোলে,
ডান হাতে স্তন্যবৃন্ত তোলে দিল-
সন্তানের মুখে!
হায়! মাতৃত্ব তুমি চিরঅমর!
পিতৃত্বের অবজ্ঞা দেখিলাম মানষচক্ষে,
যার উত্তাপে পাগলী মা হলো-
তার নাম যে তো কেউ বলে না ভিড়ে!
********
তাং: ১৪/০৬/২০১৮ ইং
৩০ জৈষ্ঠ,১৪২৫ বাং
দুপুর:১২:৪৫
নিজ বাসভবন,ধর্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত