নাম তার পিয়ালি।
শুনেছি তার দিদির মুখে।
সে এসেছিল মন্দিরে, তার দিদিকে সাথে নিয়ে।
আমি বসেছিলাম তার পাশে, খেতে।
ঘাড়ের উপরে কোমল কোঁচকানো চুল।
আর কোমল ছিল তার মুখ।
মধুর কথা যে ছিল তার
খাওয়া আর হলোনা আমার?
ভোগবানের কাছে আমি ডেকে যাই
ভোগবান শোনেন না আমার ডাক।
প্রায় তার স্কুলের দিকে আমি চলে যাই
নিরাশ হয়ে মেসে ফিরে আসি
মনে মনে ভাবি আর কোনো সম্বন্ধ না থাক
ওতো আমার স্বপ্নের রানী।
নির্মল বুদ্ধি চেহারা
ঝক ঝক করছে যেনো।
সুকুমার কপাল থেকে চুল উপরে তোলা।
উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি নিঃসংকোচ।
মনে ভাবি একটা কোনো সঙ্কট দেখা দেয়না কেনো?
উদ্ধার করে তার মন জয় করি -
তার ভালোর জন্য আমার কিছু ত্যাগ,
এও ভাবী কোন চমৎকার হয় না কেন?
যার জন্যে তার ভালোবাসা পায়
কিন্তু আমার ভাগ্যটা যেন ঘোলা জলের ডোবা।
বড়োরকম ইতিহাস ধরেনা তার মধ্যে।
নিরীহ দিনগুলো ব্যাঙের মতো একঘেয়ে ডাকে
না সেখানে হাঙর-কুমিরের নিমন্ত্রণ না রাজহাঁসের!
একদিন বেরোল পরীক্ষার ফল
স্কুলেতে হলাম প্রথম।
ইচ্ছে হল আরও পড়ার
চলে এলাম তার বাড়ির পাশে
ভেবে ছিলাম দেখা হবে তার সাথে।
আপন করে টেনে নিবে তার কাছে।
দেখা হল একদিন স্কুলের পথে।
তাকে দেখে আমি হেঁসে বলি -
তোমায় আমি ভালোবাসি।
লাল হয়ে উঠলো মেয়েটির মুখ!
দ্রুত পায়ে চলে গেল বাড়ির পথে!
হৃদয় কাঁদতে লাগলো,
একটুও দাঁড়ালো না আমার জন্যে!
বন্ধুরা বললে বেশ করেছিস তুই।
পরদিন তাকে দেখলুম না!
তার পরদিনও না,
তৃতীয় দিনে দেখি
তার ভাইয়ের সাথে যায় স্কুল -
ঘোরা পথে।
পরে জানতে পারি -
বাড়িতে হয়েছে জানাজানি।
আবারও বললুম মনে মনে-
ভাগ্যটা ঘোলা জলের ডোবা,
চমৎকারের স্মৃতি মনের মধ্যে কেবলই আওয়াজ করছে ঠাট্টার মতো।