: রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ- ১৯:-
Rubaiat of Omar Khayyam
Edward Fitzgerld
এর অনুবাদ।
(১৯)
And this delightful Herb whose tender Green
Fledges the Rivers Lip on which we lean-
Ah! lean upon it lightly! for who knows
From what once lovely Lip it slrings unseen!
কান্তি চন্দ্র ঘোষের অনুবাদ-(১ ৯)
এই যে কোমোল দূর্ব্বা যাহার বুকের ঘেরা আঁচলটুকু,
সদ্য শীতল শয়ন মোদের সব্জিয়েছে নদীর মুখ।
আস্তে সখি পাশ ফিরে নাও কী জানি এর ব্যথার ফের,
কোন রূপসীর পাতলা ঠৌঁটের জিয়ান -রসে জন্ম এর।
নরেন্দ্র দেবের অনুবাদ-(১২৬)
এইযে কিশোর কোমল তৃণের সহাস শ্যামলিমা,
চুম্বনে যার রোমাঞ্চিত নদূর অধর- সীমা,
স্নিগ্ধ সরস যাহার বুকে,শুয়েি আজ আমরা সুখে,
সাবধানে সই গা ঢালো গো সামলে দেহের ভার,
কে জানে লো বিস্মৃত কোন অধরসুধার সার,
পান করে আজ সঙ্গোপনে, উচ্ছ্সিত এি বিজনে
হৃদয়খানি তার।
কাজী নজরুল ইসলামের ১৯৭ টি অনুবাদের সথে এটার মিল পেলাম না।
সিকান্দর আবু জাফরের অনুবাদ নম্বর-১৯
এই যে তোমার পদ- লাঞ্ছিত সুকুমার বল্লরী,
আপন বর্ণে নদীতীরভূমি রেখেছে মুখর করি-
আরও আলগোছে দু'চরণ রাখো এ- প্রেয় মহাঙ্গনে
কে জানে সে কোন অধর- মাধুরী পড়ছে এখানে ঝরি।।
অধমের অনুবাদ-(১৯)
কচি সবুজ দূর্বা ঘাসে নদী চুমুক খায়,
সাবধানে ঠোঁট নামিয়ে দিও, ব্যথা যেন না পায়।
অচেনা এক বসন্ততে অজানা কোন নারী;
প্রেমের গজল গাইতো সেথা,আজ হারালো কোথায়?
Abulkalam Azad এর অনুবাদ-(১৯)
স্নিগ্ধ শীতল নদীর তীরে শ্যামল কোমল দুর্বাঘাস,
জল টলোমল মুগ্ধতাতে হাতছানি দেয় বারমাস ।
চারপাশে তার নীলাকাশে স্বপ্ন আঁকা থাকলেও ;
থাকতে পারে রূপবতীর ব্যথায় ভরা ইতিহাস !
মোহাম্মদ ডেভিড কৃৃষ্ণ বড়ুয়ার অনুবাদ-(১৯)
দেখি নবযৌবন নিয়ে নদী,আছড়ে পড়ছে তীরের ঘাসে,
আলতো করেই দিও পরশ,ঘাসকে পরম ভালোবেসে। জলসাঘরে হীনবসন্তে বসন্ত নামিতো,অচেনা নারীর সুরে;
কী লাভ হবে খোঁজে তারে,ফিরে পাবার মিছে আশে?
নাঈম মাহমুদ মিথেলএর অনুবাদ-(১৯)
বিন্দু শিশির কোমল ঠোঁটে,দূর্বা লাজে নোয়ায় শির,
নদী যে আজ খুব বেহায়া,এক চুমুতেই নেয় শিশির।
প্রেমের গজল কন্ঠে তাহার, শিরিন ঠোঁটে প্রেমের আহার;
এখন যে আর বাজে না,সেই সুর ঐ বাঁশির।
Jahangir Kabir এর অনুবাদ-(১৯)
সরস ঘাসের হরষ মাতন নদীর জলে পায় ছোঁয়া,
অচেনা কোন নারীর ঠোঁটে আনন্দেরই চুমো খাওয়া।
আলতো করে স্পর্শ করে ব্যথা যেন না পায় ;
সে হারিয়ে গেলে আর পাবে না সুরেল কণ্ঠে গান গাওয়া।
নূরনবী হীরার অনুবাদ নম্বর-19
সরস প্রেমের পরশ পেতে, সবুজ ঘাসে শিশির হাসে,
আলতো ছুঁয়ে একটু নুয়ে, শীতল মনে অধিক ভালোবাসে।
ঢেউয়ে নদী ছলাৎ ছলাৎ ব্যথায় কাতর বুক;
রূপসীরই ভেজা ঠোঁট জামানার দর্পণ হয়ে আসে।
১১/০৪/১৯
এ্যাঞ্জেল আইচের অনুবাদ-১৯
ঘাসের প্রেম যায় ছুঁয়ে,শিশির ও নদীর জল,
নরম মনে নরম সুর তার,গান গায় কলকল।
হঠাৎ বুকে বেজে ওঠে,ব্যথা ভরা কাতরতা;
হারালে আর যায় না ফিরে,পুরোনো মনোবল।
১২/০৪/১৯
রচনাকাল:-
ঢাকা১৪/০৮/১৮
রাত৮-০৫