রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ-৬১
Rubaiat of Omar ওKhayyam Edward Fitzgerald ( 1859)এর অনুবাদ-(৬১)
Then said another, " Surely not in vain
My substance from the Common Earth was ta'en.
That he who subtly wrought me into shape;
Should stamp me back to back to common Earth again.
সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের( 1908) ১৩টি অনুবাদে এটা নেই।
কান্তি চন্দ্র ঘোষ(1919)এর অনুবাদ নম্বর-৬১
বললো সে এক কুম্ভ ধীরে - নয় বৃথা এ জীবন-শ্বাস,
করলে যে জন বুদ্ধি খরচ- সৃষ্টি আপন করবে নাশ?
এ সব কি আর অমনি যাবে-ফিরতে হবে পুনর্ব্বার;
সেই পুরাতন মাটীর ঘরে, সেই কবেকার জন্মাগার।
নরেন্দ্র দেব(1926)এর অনুবাদ নম্বর-২৮৪
পরক্ষণেই তাদের মাঝে বললে আর একজন--
" মাটির দেহ সৃষ্টি আমার হয়নি অকারণ।
রূপ দিয়েছেন আমায় যিনি,যত্ন করে ঢের;
পাঠিয়ে দেবেন তিনিই আমায় মাটির বুকে ফের।
কাজী নজরুল ইসলাম( 1933) এর অনুবাদ নম্বর-১১৪
এই যে রঙীন পেয়ালাগুলি নিজ হাতে গড়ল সে,
ফেলবে ভেঙে খেয়াল খুশির লীলায় এদের বিন দোষে?
এতগুলি সুষ্ঠু শোভন চটুল আঁখি চন্দ্রমুখ;
প্রীতির ভরে সৃষ্টি করে করবে ধ্বংস ক্রোধবসে?
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ(1942)এর অনুবাদ নম্বর- ৬৪( R 185)
পাত্র একটি বুদ্ধি যারে বলে,বাহা চমৎকার!
কপালে যার স্নেহচুম্বন নিত্য সে দেয় বারংবার।
গড়ে তারে নিজের হাতে হেন সুন্দর মনমোহন;
খেয়াল হলে আছড়ে ভাঙে নিঠুর সে কাল- কুম্ভকার।
সিকান্দর আবুজাফর (1966) এর অনুবাদ নম্বর-৬১
অপর কুম্ভ বললো; তাহলে তালতাল কাদা ছেনে,
সৃষ্ট আমরা,সেকি শুধু এই ছেলেখেলা হবে জেনে?
সুনিপুণ হাতে যিনি আমাদের গড়েছেন পরিপাটি ;
সে কি আমাদের ভাঙতেই শুধু আবার ধূলিতে এনে।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (1971)এর বইয়ের ১২৫টি অনুবাদের মধ্যে
অনুবাদ নম্বর-১১১
আরেকজনের কণ্ঠ শুনি," এই কথা নয় মিথ্যা জানা,
সহজ কাদার তাল থেকে আজ আমায় নিয়েই কাণ্ডখানা।
এব্ং যিনি গঠক কুমোর,জনক আমার,স্রষ্টা, পিতা;
আবার ভেঙে তাল করে দিন,কাদায় থাকি গোত্রকানা।
শামসুল আলম সাঈদ(2011)অনুবাদ ২০৯ টির মধ্যে অনুবাদ নম্বর- ৫৯
অপরূপ তনু গোলাপমুখী চারুবাহু আর চক্ষু জোড়া
যৌবন ঝলক চুমের চমক প্রেক্ষাঘরের পুষ্পমোড়া।
যো কারিগর মনের মাটির( অনন্য হাতে) এমনই স্বর্গ করে রচন;
মাটিতেই ঠিকরে কি আক্রোশে ভঙে গাড়ল,তবে দৃষ্টিপোড়া?
অধ্যাপক আলমগীর জলিল(2013)এর অনুবাদের সাথে মিললো না।
পৃথ্বীরাজ সেন (2015)এর অনুবাদ নম্বর-২৮৪
পরক্ষণেই তাদের মাঝে কে যেনো বলল একা
মাটির দেহ সৃষ্টি হয়নি আছে শোনা আর দেখ।
রূপ দিয়েছেন যিনি আমায় যত্ন করেন যে;
পাঠিয়ে দিবেন তিনি আমায় মাটির বুকে পেয়ে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর (২০১৭) অনুবাদ নম্বর-৬১
আরেকটা পুতুল বলল তখন,সৃষ্টি আমায় করতে গিয়ে,
মাটির তালই লাগছে কাজে, গড়ছে আমায় মাটি দিয়ে।
রূপ দিয়েছেন আমায় যিনি তিনিই আবার ভাই;
ফেলবে আমারে মাটির বুকে আপন খেলা খেলে নিয়ে।
শামসুদ্দীন আহমদের(২০১৭) অনুবাদ- ৬১
অন্য একটি কুম্ভ কহিল,শুনুন বন্ধু জনে,
মৃত্তিকা দিয়ে এই দেহ গড়া সৃষ্টির প্রয়োজনে।
কুমোর স্রষ্টা সৃষ্টির সুখে গড়ে নিপুণ হাতে;
তিনিই আবার ভাংচুর করে মিশাবে মাটির সাথে।
আবুল কালাম আজাদ-এর (২০১৯) ভাবানুবাদ- ৬১
মাটির পাত্র বলছে অপর আরেকটিকে হেসে,
সৃষ্টি করেন আমায় যিনি অনেক ভালোবেসে!
কে জানে কি তার অন্তর, খেলে চলেন নিরন্তর;
খেলা শেষে সব একাকার হয়ে এই মাটিতে মেশে ।
এ্যাঞ্জেল আইচের (২০১৯) অনুবাদ(৬১)
মাটির দলা দিয়ে করলে তৈরী,তোমার আপন হাতে,
তোমার রূপে আমি রূপী,মিলে যাই যে তোমার সাথে।
যেই মাটিতে কুমোর তুমি,তৈরী করলে মানুষ মোরেই;
সে মাটিতে মিশাবে শেষে,আসে যায় কী তোমার তাতে!
নাঈম মাহমুদ এর অনুবাদ নং ৬১
কুমোর কাদার বুকে আদর করে মিষ্টি কত পাত্র গড়ে,
কত ফুলের গলা কেটে পাত্রতে তা সাজায় ঘরে।
ইচ্ছে হলে পাত্রটারে বিনাদোষে আছাড় মারে;
করবে কি পাত্রটা ভাই চুপ করে রয় ধুলার পরে।
মোহাম্মদ ডেভিড কৃষ্ণ বড়ুয়ার(২০১৯) অনুবাদ-৬১
বলল একজন স্নেহচুম্বন ললাটে দেয় বারেবার,
পরক্ষণেই আছড়ে ভাঙ্গে নিঠুর সেই কুম্ভকার।
তৈরী করে মনের মত যত পুতুল নিজের হাতেই;
নিজ রূপে বানিয়ে ভাঙ্গে মাটিতে পাঠাতে আবার।
নূরনবী হীরার (২০১৯)অনুবাদ নম্বর- ৬১
শিল্প হাতে গড়ে আমায়, দক্ষ নিটোল কারিগর,
স্নেহ চুম্বন আদর মাখে, আমিই যেন বাড়িঘর।
আছড়ে ভেঙে বের হয় আবার, নিঠুর মাণিক নির্মাতা!
ছিন্ন করে মায়া সকল, ধুলোয় মিশায় প্রেমনগর।
সংকলনকাল :-
.ঢাকা ০৮/০৭/১৯
রাত২-২০
★ যাঁহারা আমার সাথে আগের ৬০টি অনুবাদে যুক্ত ছিলেন শুধু তাঁহারাই আমন্ত্রিত। ওমরের কুজা - নামার অনবাদগুলি প্রায় একই রকম।পার্থক্য করা প্রায় অসম্ভব।