-: রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ- ১৩:-
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
Rubaiat of Omar Khayyam
Edward Fitzgerld
এর অনুবাদ।
(১৩)
Look to the Rose that blows about us-Lo,
Laughing,she says,into the world I blow,
At once the silken Tassel of my purse
Tear,and its Treasure on the Garden throw.
কান্তি চন্দ্র ঘোষের অনুবাদ:-(১৩)
সদ্য ফোটা এই যে গোলাপ,গন্ধ- প্রীতি- উজল মুখ,
বলছে নাকি মিথ্যা এসব,এই ক্ষণিকের দুঃখ সুখ।
পৃথ্বী- বুকে উঠছি ফুটে,গর্বে পরি রঙীন সাজ;
পাপড়ি টুটে ছড়িয়ে মোদের,জীবন-রেণু পথের মাঝ।
নরেন্দ্র দেবের ৩১০টি অনুবাদের সাথে মিলাতে পারলাম না।
কাজী নজরুল ইসলামের ১৯৭ টি অনুবাদের সাথে মিলাতে পারলাম না।
সিকান্দর আবু জাফরের অনুবাদ নম্বর-১৩
আশেপাশে যত গোলাপকন্যা চেয়ে আছে হাসি মুখে
ডেকে বলে তারা,মাটির ধূলিতে ফুটেছি পরম সুখে:
রেশমের মত কোমল পাপড়ি যখনই আমরা খুলি
তৃষিত বনানী সুরভি ছোঁয়ায় মেতে উঠে কৌতুকে।।
Sultan Muhammad Razzak এর অনুবাদ:-(১৩)
মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখি, সদ্য ফোটা গোলাপ সই,
সে হেসে কয় এই ধরাতে, আমার মত শোভা কই?
হঠাৎ বুনো হাওয়ার তোড়ে, পাপড়িগুলো খুলে পড়ে ;
ধুলায় হেলায় গড়ায় তারা; রূপসৌরভ রইলো কই!
অধমের অনুবাদ:-(১৩)
চোখ তুলে চাও শুনিতে কি পাও বলছে গোলাপ হেসে হেসে,
দুনিয়া জোড়া কদর আমার সবাই তুলে নেয় ভালোবেসে।
রেশম পেলব পাপড়ি আমার রোদে যখন শুকিয়ে যায়;
অবহেলায় ধরার বুকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় অবশেষে।
সোহাগ রেজভীর বাংলা অনুবাদঃ-(১৩)
সুগন্ধ ছড়ায় গোলাপফুল,নজর দিয়ে দেখো,
হেসে বলে এই অবদান,হৃদে লিখে রেখো।
যখন পাপড়ি পড়লো ঝরে,হাসি হলো মলিন;
জমিনকে সম্পদ দিলো,নিজ মহিমায় ঢেকো।
MD Anwarul Islam এর অনুবাদ:-(১৩)
বইলে সৌরভ গোলাপের গৌরব, দেখ সাকি চেয়ে,
রূপের ঘোরে জগত ঘুরে, বলল হেসে মেয়ে।
রূপের চমক থাকল না আর,বেলা যখন হল পার!
ধন ভাণ্ডার হল বেকার, বুঝল মৃত্যু সলিলে নেয়ে।
Jahangir Kabir এর অনুবাদ;-(১৩)
প্রিয় সাকি খোল আঁখি গোলাপ তোমার দেখার বাকি,
মোহন হাসি জগতজুড়ে ভালবাসায় দেয় যে ঢাকি।
সেই গোলাপের তন্বী দেহ রেশম পেলব বুঝলে কেহ;
শুকিয়ে গেলে রোদের মাঝে ধুলার বুকে রাখি।
Abulkalam Azadএর অনুবাদ:-(১৩)
চেয়ে দেখ ফুলের রানী গোলাপ কেমন হাসে,
যৌবনে যে সবাই তাকে অনেক ভালোবাসে ।
অল্প পরে পাপড়ি ঝরে বদন মলিন হলে;
নয়ন জলে মাটির কোলে মেশে অনায়াসে ।
নাঈম মাহমুদ মিথেল এর অনুবাদ:-(১৩)
গোলাপ হেসে গর্ব করে, বলল সে রূপের রানী,
সবাই তারে ভালোবাসে,কবিও লিখে অমর বাণী।
দমকা হাওয়ার ধাক্কা খেয়ে,গোলাপ পাপড়ি যায় লুটিয়ে;
অবশেষে ধুলায় মিশে,সুন্দর সেই অঙ্গখানি।
এ্যাঞ্জেল আইচের অনুবাদ নম্বর-১৩)
মোহিত করে চতুর্দিক বলে গোলাপ ফুলে,
লিখে রেখো আমি আছি এরই মূলে!
জৌলুশ হারিয়ে কলুষিত হয় সকল অবদান;
উর্বর হয় মাতৃজগৎ,মাটি নিয়ে তুলে।
নিলুফার ইয়াসমিন রুবির অনুবাদ নম্বর- ১৩
দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে দেখো, বলতে কি চায় গোলাপ হেসে,
রূপের পাগল দুনিয়া জুড়ে, ব্যাকুল পেতে ভালোবেসে।
বাসি হলে যায় শুকিয়ে নরম কোমল পাপড়ি গুলো ;
কদর ফুরায় ধুলোয় লুটায়, প্রেম সে হারায় পরিশেষে।
০৪/০৪/২০১৯
রচনা কাল:-
ঢাকা৩০/০৭/১৮
রাত ৭-৫০