তারুণ্যের স্বপ্ন
একুশ সালে ওয়াশিংটন এর কেপিটল হিল এ
ক্ষমতাধর গণতন্ত্র ঝাণ্ডা ধারীদের শপথ বেদিতে জ্বলে উঠা কবি
বলো তোমায় কি নামে ডাকি
তুমি তরুণী, তুমি কৃষ্ণাঙ্গ
তোমার নাম আমান্ডা, তুমি দুর্দান্ত ।
পৃথিবীর ধনাঢ্য গোষ্ঠীপতিদের মধ্যবর্তী অবস্থানে দাঁড়িয়ে যখন
উচ্চস্বরে আহ্বান কর গণতন্ত্র
ছিলনা সেথায় পিন পতনের শব্ধ
কানপেতে শুনেছে সবাই
তখন তীক্ষ্ণ শাণিত বর্ষার মত বাজিল তোমার স্বর
লুব্ধ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তুমি জ্বলে উঠো
তুমি জ্বলে উঠো মানবতার স্বপ্নে
তুমি জ্বলে উঠো কালো ধলের সাম্যে,অহিংসার প্রশ্নে ।
তুমি জেনেছ তুমার পিতামহের দাসত্বের কথা
অথবা তাহাদের পিতা -পিতামহের কথা
হয়ত তুমি জান এ সবের হোথা কারা
হয়ত তুমি দেখেছ হেনয়ের নাপাম বোমায় জ্বলা তরুণীর উলঙ্গ দেহ
হয়ত তুমি জান বার্লিন গেস্টপদের কাহিনী
হয়ত তুমি জান হিটলারের গেস চেম্বার এর কথা
হয়ত তুমি জান তাহাদের ইউজেনিকস প্রজনন তত্ত্ব
এ যুগেও তুমি শুনেছ নিশ্চয়ই 'আই কান্ট ব্রিদ' ।
তাহারা মরে নাই আজো, তাহারা কি মরে?
এই হয়তবা সময়, তাহাদের রক্ত চক্ষু হিংস্রতার উপযুক্ত জবাব দেয়া
দুরন্ত প্রশ্নবাণে বিদ্ধকরণ তোমার ন্যায্য অধিকারের কথা বলা
তাই বুজি তোমার এই কবিতা
আমি দেখেছি তোমার চোখে সেই আগুন
ধুকে ধুকে জ্বলছে শতাব্দী পর শতাব্দী
সে আগুন নিভে কেমনে!
হে তরুণ কবি জেগে থাকো
দিগন্তে নূতন সূর্য উদয়ের আহ্বান
তোমার দীপ্ত কণ্ঠের বর্ষণ
হয়ত এক দিন, এই ধোঁয়াশার আবরণ কেটে যাবে
হয়তবা কেটে যাবে পৃথিবীর অসম বণ্টন
হয়তবা পূর্ণ হবে তোমার এ স্বপ্ন
হয়তোবা তারুণ্যের স্বপ্নে, গড়া হবে নূতন পৃথিবী।
মুজাহিদ চৌধুরী। লন্ডন। ২৫।০১।২০২১।