দৃষ্টি
আমার ভুবনে যখন তুমি এলে তখন
ঠাই ছিলনা তুমায় আদরে ধরে রাখার
কিছুই ছিল না আমার হাতে  
আমার নিভৃত অন্তরের ব্যথা ভারি গংার বহমান ভার
ন্যথিয়ে পড়ে ছিল পাথরের স্রোতে
সেদিন সূর্যের আড়ালে শুধু মেঘের ছায়া ছিল
গন্ধে কেমন বমির ভাব হতো তবুও তুমার গন্ধেই উচ্ছ্বাসের বেদনা
সুবাসের আতর হতো।

আকাশে শকুন বারবার মাথার উপর উড়ো উড়ো করত স্বাধীনতা মনে হতো
লাশের খেলা,শকুনের ঠোটের আহার,কাকের কা কা রব,হায়েনার খাদ্য ,মাছির ভন ভন শব্দ
ধিক্কার আর রুশের আগুন বইত রক্তে মনে হতো কেন তুমি এলে স্বাধীনতা
পড়শির সুঠাম ছেলেটি নেই যৌবনে ভরা মেয়েটি ধরে নিয়ে গেছে  
বৃদ্ধের আহাজারি কান্না, বুকে পাথর চাপা ব্যথা, ধ্বংস চতুর্দিকে।

তুমি আজো আছো সেদিন আর আজকের ব্যবধান অনেক বছর
তোমার মাটিতে সৌধ হয়েছে তোমার মাটিতে বাগান হয়েছে
তোমার মাটির উপর আনন্দে যমুনা বহে
তোমার মাটির কিশোর কিশোরীরা গায় আনন্দের গান    
তাদের হাতের পতাকা বিজয় উল্লাসে বাতাসে রঙ মেলে
না পাওয়ার আনন্দ যে কত গভীর তাই
আজ পাওয়ার আনন্দে বলি আমি তোমায় ভাল বাসি।  
মুজাহিদ চৌধুরী।১৬।১২।২০১৬। লন্ডন।