“মুক্তির উল্লাস”
তেইশ জুন সতের’শ সাতান্ন
বঙ্গ ইতিহাসের অধ্যায় এক অনন্য,
পরদেশীর ছিলো স্বার্থ কতক
সাথে স্বদেশী যত বিশ্বাসঘাতক
দু’য়ে মিলে ষড়যন্ত্র ছিলো জঘন্য।
পলাশির প্রান্তরে অমানিশার অন্তরে
আস্থাচলে হারিয়ে যায় দিবাকর,
পাড়ি দিয়ে দুর্গম, বহুদূর অতিক্রম
সাতচল্লিশে উঁকি দেয় প্রভাকর।
আলো ছড়াবে, ফুলেরা ফুটবে
কোকিল ডাকবে বসন্ত হাসবে;
মনে জাগা আশা কুয়াশায় যায় ঢাকা
ত্যাগ তিতিক্ষা, আর প্রতীক্ষার প্রহর
থেকে যায় আরও কয়েক বছর।
৫২’ই ভাষা নিতে চেয়েছিলো কারি
নব বধুর সাদা শাড়িতে রক্তে লিখি
অ, আ, ক, খ বর্ণ আছে যতগুলি।
ছেষট্টি, উনসত্তর পেরিয়ে সত্তর
ধ্বনিত শানিত গর্জে উঠে রক্তাক্ত একাত্তর।
সাগর সম সেই রক্ত দিয়া
হায়েনার সব বিষ্ঠা ধুইয়া
দেশ মাতাকে করি পুত ও পবিত্র,
জননীর শাড়ী নিয়া, সজনির ওড়না দিয়া
আবৃত করেছি তাঁর সম্ভ্রম সর্বত্র।
রজনীর আঁধার পেরিয়ে
সুদিনের বার্তা নিয়ে
আজকে আসে সেই মুক্তির দিন,
আকাশে বাতাসে শোন তারই
গৌরব গাথা বিজয়ের বীণ।
দেখো সুনিল আকাশে
মুক্ত বিহঙ্গের উচ্ছ্বাস
দেখো দিগন্ত ভেদী
সূর্যের আলো মাখা
মাতৃ অঙ্গের উদ্ভাস;
হাজারো সালাম তোমায়
সাবাস বাংলাদেশ তোমায় সাবাস।