যে শঙ্কায়-
তিন চার-টাকার মাস্ক
পঞ্চাশ/ষাট টাকায় বিক্রয়
এ যেন ব্যবসায়ীদের ফন্দি,
বিক্রয়ে দিলাম না কোন রকম বাঁধা
ক্রয়ে ভালো-মন্দের কত রকম ধাঁধা;
একাধিক পরিধানে হলোও না কোন দ্বিধা
তারপরও স্বেচ্ছায় রইলাম গৃহবন্দী।
সে শঙ্কা আজ বেড়ে আশঙ্কাজনক
মোকাবেলায় সবার তাই নড়েছে টনক।
সংকট এখন আরও সংকটাপন্ন
বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল
প্রতিনিয়ত বয়স্করা হচ্ছে বিপন্ন।
কী আজিব !
মাস্ক এখন তিন/চার টাকায় হচ্ছে ফেরি
অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে তা ফ্রি
তবুও কেউ তা পরছে না
হাতও কেউ ধুচ্ছে না,
থাকছেও না আর কেউ বাড়ি
কারণ অকারণে শুধু
করছে বাইরে ঘোরাঘুরি।
বজায় রাখছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব
এ বিষয়ে কারোরই নাই কোনই গুরুত্ব।
এ যেন আমাদের প্রবৃত্তি সহজাত
প্রমাণ হয় আমরা হুজুগে এক জাত।
করোনা এখনও দুর্ভেদ্য দুর্জয়
তারপরও মোরা চলি নির্ভয়।
বিশ্বব্যাপী এই মহামারিতে
যে মা হারালো তার সন্তান
যে বোন হারালো তার বাবা
কেবল তারাই শুধু জানে
করোনা কি?
আর কী ভয়ংকর তার থাবা !
চলে যেতে হবে একদিন জানি
তবুও সবাই মিলে স্বাস্থ্য বিধি মানি।
আমি যেন না হয় কারো
প্রিয়জন হারাবার কারণ
অবাধ চলাচলে করি তাই বারণ।
আসুন সবাই মিলে হয় সচেতন
করোনা নয়-
দিন শেষে আমরাই ওড়াবো
মানব সভ্যতার কেতন।