শ্রেণি নিম্ন মধ্যবিত্ত ছোট তার বৃত্ত
প্রয়োজন নিত্য হয়না তাই চিত্ত।
“বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না
কইতে মনের(বেদনার) কথা”
সংসার মঞ্চে, জীবনের নাটকে
সে যে, এক বড় অভিনেতা।
ভাড়ার’ই বাসায়, বাস করে আশায়
নির্মাণ করবে নিজের একখানা বাড়ী
করে সে যে, এক বে-সরকারি চাকরী।
বিশেষ দিনের আকাঙ্ক্ষায়-
হাট-বাজার, পথ-প্রান্তর, ছুটে বেড়ায় নিরন্তর।
পঞ্জিকার পাতা আর হিসাবের খাতা
এক এক করে গণে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে
প্রতীক্ষার প্রহর শেষে কাঙ্ক্ষিত দিন আসে
পেয়ে যায় মাইনা, ছেলে-মেয়ে ধরে তাই বায়না
বাজারের থলি হাতে যায় সে হাটে
নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক সয়দা
চাল, ডাল, তেল-চিনি ময়দা
ক্রয় করেতে চলে যায় সব বেতন
রয়ে যায় শুধু তার নিজ প্রয়োজন।
জামার অস্থিনে পরেছে কত ভাজ
দেখেও তার হয়না তাতে কোন লাজ।
খরিদ করেছে গত দুই/তিন বছর
বর্ণ হয়েছে যার কত না ধূসর
তবুও আসেনা তার তাতে কোন নজর।
পদ যুগলের জরাজীর্ণ সাথী
বলে পারিনা তাই ছেড়ে দে ভাই বাঁচি,
আর কত চলবি দিয়ে মোরে ভর
আর কত বলবি আরও কিছুদিন ধৈর্য ধর,
কেন তুই পারিস না করতে মোরে পর?
করতে সবার মন জয় করে সে অভিনয়
দুঃখ রাখে বুকে সুখ রাখে মুখে
পর জনের জিজ্ঞাসায় জবাব দেয় সর্বদায়
মুখে নিয়ে হাসি বলে ভালই আছি।
এই তার সীমাবদ্ধ জীবনের রূঢ় বাস্তবতা
তাইতো আজ সে এই মঞ্চের সফল অভিনেতা।