হঠাৎ করেই হঠাৎ আমার
দেখা হয় তার সাথে,
শুধালো আমায় আড়ষ্টতায়
কবে করেছি বিয়ে!
সেই তুমির সেই আমিটা
আজ ভিড়ের ভিড়ে আপনি,
গত হয়েছে কটা বছর
একটুও খোঁজ নাওনি।
আমি কিন্তু দূরে থেকেও
দুরুত্ব রাখিনি,
তোমার সব খবরা-খবর
রাখতে ভুলিনি।
হলুদের দিনের খয়েরী শাড়ি
কিংবা বিয়ের বেনারসী,
সবার অলক্ষ্যে পৌঁছে গেছি
তোমাদের ঐ বাড়ি।
দুহাত ভরা মেহেদি তোমার
পায়ে দিয়েছো আলতা,
গলাতে ছিল গাঁদার মালা
কাঠফুলে ভরা খোপা।
দেখে মেটেনি নয়নের সাধ
শুধু বেড়েছে ব্যাকুলতা
এমন দিন আসবে জানলে
করতাম কি সখ্যতা!!
তবু গিয়েছি তোমাদের বাড়ি
পাগলের মত ছুটে,
এমন সাজে দেখায় কেমন
আমার প্রেয়সী টাকে!!
দিয়েছিলে কথা আট্কাবে বিয়ে
পরিবার করবে রাজি;
আমায় মানাতে তাদের কাছে
ধরবে শত বাজি।
রাত বেরাতে লুকিয়ে দেখা
অজস্র সব স্মৃতি!
নিমেষেই সব ফিকে হল
কর্পূরের মত উবে গেল
তোমার বাবার কড়া শাসন-
সবকিছুতে কঠোর বাড়ন
জোড় পূর্বক বিয়েতে যখন
নিয়েছিল সম্মতি।।
আমি তখন ছাত্র কেবল
টিউশনি করে চলি;
তোমায় আমি করবো বিয়ে
কি করে তাদের বলি।
নিয়তি তাই নিলাম মেনে
বিষপান যেন জেনে শুনে।।
শেষ বিদায়ে আমরা দুজন
অবিরত সজল অশ্রু নয়ন!
কণ্ঠ সেদিন রুদ্ধ করে
কেউ দাঁড়িয়েছিল শক্ত করে;
তাই হয়নি কোন বাক্যবাণ-
হয়নি কোন কথা;
চুপটি করে ছিলাম দুজন
এক মহাকালের নীরবতা;
অত:পর!! অতীতের সব পোড়া স্মৃতি
এককোণেতে রাখি;
দুজন দুজনার নতুন গন্তব্যে
নির্বিকার হাঁটি।
জীবন্ত লাশ হয়ে হাঁটি।।
বিয়ের দিনেও গিয়েছি আমি
চুপিসারি তোমার বাড়ি
দেখি তুমি সবার মাঝে
সিদুরে লাল বেনারশিতে!!
পারিনি সেদিন কাঁদতে আমি
পারিনি করতে চিৎকার
ভিতরটা আমার দাবানলে শুধু
জ্বলে-পুড়ে একাকার।।
এতদিন পর হঠাৎ করে
আবার যখন দেখা হলো
বুঝিয়ে দিলাম আমি এখন
আমার মত আছি ভালো।
তুমি আর তোমার বর
যেমন হাসিখুশি দুজনেই
আমার ঘরে আমার জন্য
প্রতীক্ষায় আছে অন্য কেউ।।
একসময় দেখলে যাকে
উত্তেজনায় কাঠ হতাম
সময়ে স্রোতে বাস্তবতায়
নিজেকে সেই প্রেমিক নয়
অচেনা এক পুরুষ রুপে পেলাম!!
আজও দুজনার গন্তব্য ভিন্ন
আজও দুজন দু'দিকে হাঁটি
রাস্তার ঐ বাঁকে গিয়ে
কেউ কি দেয় উঁকি!
রাস্তার ঐ বাঁকে গিয়ে
কেউ কি দিলো উঁকি!!!