একদিন আমাদের দেখা হবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
তুমি হাজার চাইলেও, এই দেখা হওয়াটা আটকাতে পারবেনা।
চারপাশ সেদিন রঙ-বেরঙে না সাজলেও-
ঢাক-ঢোল মৃদঙ্গ না বাজলেও-
আমাদের দেখা হবে!!

আমাদের দেখা হবে আয়োজন ছাড়া, হুট করে।
হয়ত দেখা হবে কোন এক বাসস্টপে অথবা
মেট্রোরেলের টিকিট কাউন্টারের কিউয়েতে।
হঠাত দেখা হয়ে যাবে নিউ মার্কেটের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে  
অথবা কোন এক রেস্টুরেন্টের বিল মেটাতে গিয়ে।
দেখা হতে পারে বিজয় স্মরণীর সিগন্যালে কিংবা
কোন এক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে!!

আমাদের বয়স মধ্য গগনে হোক আর পড়ন্ত বিকেলে হোক,
দেখা হবে।।
অনেক কথার নদী মরে গিয়ে তিস্তা হলেও
চোখের জল গড়াতে গড়াতে ফোরাত হলেও
দেখা হবে ।।
তোমার সমস্ত লুকোচুরি - ছলচাতুরী
সব হেরে গিয়ে, একদিন দেখা হবে!!

এই যে এতদিন পর আমাদের হঠাত দেখা হবে,
পারবে কি সেদিন আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে??
নাকি সেদিন তোমার চোখ,
বাসি লাশের ঘোলাটে চোখের মত লাগবে, শুধুই তাকাবে;
সে তাকানোয় কোন ভাব নেই-ভাবার্থ নেই,
আছে কেবলই পালাবার চেষ্টা !!
আচ্ছা পলাশীর যুদ্ধে যদি নবাব জিতে যেত অত:পর
যুদ্ধ শেষে মীরজাফর কে তার সামনে দাঁড় করানো হত
সে কি পারতো চোখে চোখ রেখে-
দু'পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে থাকতে? পারতো!!
বিশ্বাসঘাতক দের কোনদিন চোখ থাকেনা,
চক্ষুলজ্জা-গ্লানি এসব কোনকিছু তাদের স্পর্শ করেনা
বিশ্বাসঘাতক দের হৃদয় বলতে কিছু নেই,
অনুশোচনার মেঘ তাদের উপর ভর করেনা।।
তারা আমাদের মত দোপেয়ে হলেও
ভেতরটা চার পেয়ে স্বার্থান্ধ গিরগিটি হয়-
প্রচণ্ড রকমের স্বার্থ-সাধক হয়!!

আচমকা তোমার সাথে দেখা হয়ে গেলে,
সেদিন কি বলবে, গুছিয়ে রেখেছ কি??
তোমার গলা দিয়ে তো, কথা বের হওয়ার কথা না!!
আমাকে দেখা মাত্রই তুমি অসাড় হয়ে যাবে
তোমার কণ্ঠ খড়খড়ে শুষ্ক কাঠ হয়ে যাবে
তোমার সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাবে কারন তুমি ধরা পড়ে গেছো
নিয়তি, তোমাকে আমার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।।
সেদিন তোমাকে তোমার অজুহাত-
তোমার ছলনা মেশানো সেই কপটতার দেয়াল
এতটুকু আড়াল করতে পারবেনা
শত চেষ্টাতেও আমার চোখে চোখ রেখে,
তুমি কথা বলতে পারবেনা।।

তুমি যে হেরে গেছো,
নিজের কথার কাছে হেরে গেছো
আমার চোখের কাছে হেরে গেছো
আমার ভালোবাসার কাছে হেরে গেছো;
তুমি অনেক আগেই হেরে গেছো।।

আমি জানি একদিন আমাদের দেখা হবে
অবশ্যই দেখা হবে।। দেখা হবে!!

--মানচিত্র