কেন ঐভাবে দাঁড়িয়ে থাকো, দাঁড়কাক হয়ে-
রাস্তার ধারে একা?
বিষণ্ণ বদনে প্রহর গুনে চলেছো, কার জন্য?
এ'অবেলায়!!
চোখটা পোড়া, বহু কষ্টে বুকের কথা আটকে রাখা।
এক ছটা দেখায়,
বোঝার আর কিছু বাকী থাকেনা!!
গায়ের চাদরে কি সব যায় ঢাকা? যায় না।।
চারপাশ বুঝে যায়!!
যেমন বোঝে ভোরের রক্তিম আভা - তপ্ত দ্বিপ্রহর
বুঝতে পারে জঙলার ডাহুক, বুঝতে পারে ঝোপের চড়ুই,
এমনকি ঝিঁঝিঁপোকা; খেঁকশিয়ালের পাল।
তাই বুঝি বিরামহীন করে তারা কানাকানি-ডাকাডাকি!!
মাথার উপরে ভাসতে থাকা নিঃসঙ্গ এক টুকরো মেঘ
তোমায় এক দেখাতেই বুঝে যায়;
কতটা তুমি ভীষণ একা!! তুমি কতটা ভীষণ একা।।
তাইতো তার আলতো ছোঁয়ায় ভেজায় তোমায়,
যেন পরখ করে জানতে চায়-
ঠিক কতটা গভীর তোমার লুকোনো ক্ষত-
কিসের টানে - কার কারনে, একলা ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকো।।
কার যাতনায় চোখের নিচে সরু কাজলরেখা টানো
কার বিরহে, কার কারনে।।
পড়ন্ত গোধূলী বেলায় ছাতিম ফুল হাতে, আসবে সে;
ভাঙাবে তোমার অভিমানের সুর, বাজাবে প্রেমের বীণা!!
তোমার ঠোঁটে রেখে ঠোঁট, গিলে নিবে সব ব্যথা,
যেমন করে কেউ পান করে নেয় আকণ্ঠ অমৃত সুধা!!
এমন করে কি কেউ কথা দিয়েছিলো -
সেই জন্যই তোমার হাতে আজ প্রতীক্ষার জপমালা??
পূর্ণিমার চাঁদ চলে গিয়ে আবার আসে ফিরে,
গতরজুরে ভরা যৌবন মেখে।
প্রতিবার পাতা ভাঙার মর্মর শব্দ,
থেমে যায় কোকিলের কুহু-কুহু গানে।
ভাটাকে দেয়া কথা রাখতে জোয়ার যেমন আসে;
সবাই আসে ফিরে, তার প্রতিশ্রুতির টানে-
আমাদের ভীড়ে, বারেবারে।।
তবে কি সে তার মুখের কথা বেমালুম গেছে ভুলে??
কার জন্যে অমন দাঁড়কাক হয়ে গেছো,
কার জন্য একলা তুমি ঐভাবে দাঁড়িয়ে থাকো!
কার জন্য!!
--------
মানচিত্র
--------
০৬-১১-২৩