বহুকাল পর তাকে শুনলাম; মুঠোফোনে।।
যতসামান্যকথা, ঠিক কথানয় বরং আক্ষরিক অর্থে তা-
বুকের খাদে বহুদিনের চাপা পরে থাকা বেদনার একযোগে মাথাচাড়া দেয়া।
কথার ভাজে থাকা এক একটা শব্দ,
খোলস ভেঙে পঙ্গপালের মত আলোর বেগে ছুটে আসছিলো;
হঠাত খোঁজ পাওয়া একছিটে প্রশান্তির খোঁজে।
কিন্তু এতো অল্পে ঠিক কি করে তুষ্ট হয় এক বুভুক্ষু হৃদয়।
এরপর সেই হৃদয় যদি হয় হানাবাড়ির মতই জরাজীর্ণ- পরিত্যক্ত!!

সেদিন কথাশেষ করার পর,
বারবারই মনে হচ্ছিলো গোটা কয়েক শতাব্দী কেটে গেছে আমাদের এই সংলাপ বিহীন বিরতিতে!!
গাদ্দাফি- হোসনী মোবারকের একনায়কতন্ত্র বিদায় নিয়েছে, সাদ্দাম-লাদেন এদের খবর আর সংবাদ মাধ্যমে আসেনা;
চির যৌবনা নদী তার যৌবন খুইয়ে বেওয়ারিশ এর মত পরে আছে; সেও অনেকদিন।  
ঝাকবেধে যে গাছের ডালে এসে একসময় বিশ্রাম নিতো সাদা বক আর কালো পানকৌড়ি;
সেই গাছের জায়গায় এখন ছাই রঙা দোতলা বাড়ি।।
আমাদের বাসার শ্যামলী মাসীর মেয়ে লাবনী,
যাকে তুমি আদর করে ঝুনঝুনি ডাকতে;
সেও এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।
গত সপ্তায় পাত্রপক্ষ দেখে গিয়ে জানিয়েছে,
সামনের রমজানের আগে একেবারে অনুষ্ঠান করে তুলে নেবে।
কোনকিছুই আর আগের মতন নেই....
না তুমি, না আমি; না আমাদের সেই ছেলেমানুষি কথা কাটাকাটি।।

সেদিন কথা বলার সময়,
একটিবার রবীন্দ্রনাথের মতো করে বলতে ইচ্ছে করেছিলো,
"আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি আর!!"
তোমার উত্তরের প্রত্যাশা না করেই আমি বেশ বুঝতে পারি,
আজ তুমি আর আমি ভিন্ন দুটি গ্যালাক্সির বাসিন্দা;
যেখান থেকে কেবল কণ্ঠস্বর টাই শোনা যায়, কাছাকাছি আসা যায় না!!
বহুকাল পর তাকে শুনলাম!! এইতো!!


----------
মানচিত্র
০৪-০৩-২৪