স্মৃতির দিকে হাঁটছে এখন সেই সন্ধ্যেগুলো।
যখন পাড়ার সমস্ত বৃদ্ধ-যুবা-বালক মিলে
গোল হয়ে বসতাম কাঠের আগুনকে ঘিরে।
অবাক হয়ে শুনতাম
রসিক বুড়োদের দোক্তাখাওয়া মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসা মহাজনী কথা।
আরও একটু কুয়াশা ঘনালে
পলাশ দিয়ে মোড়া আদিবাসীদের পাড়া থেকে আসত রঘু, মহুয়া গিলে।
এসে শোনাতো তার স্বরচিত সাঁওতালি শের ও শায়েরী।
প্রেমের আখ্যান।
আমরা কোনো তর্ক করতাম না।
গভীরভাবে বিশ্বাস করতাম তার সকল কথা,
যেমন করি গ্রন্থের আত্মাকে।
আজ কেন হঠাৎ রঘুকে মনে হল পিকিং মানব,
আর দোক্তাখাওয়া মুখদল শবরপা, কাহ্নপা,
বলছেন ভাঙ্গা ঘর আর নৈরামনির গল্প!