এখানে আজ কবিতার বাকি অংশ-টি দেওয়া হল । আপনাদের সবরকম মন্তব্যের আশায় রইলাম ।
আমি পাইনা দেখতে কি ফুল আমার পায়ে,
আর কী’ই বা সুবাস ঝুলছে শাখা হতে !
কিন্তু, সুবাসিত আঁধারে আমি বুঝেছি চেতনা দিয়ে
যা সুফলার এই মাস, নিয়ে আসে তার দুই হাতে ।
গুল্ম ঘাস আর ফলের বৃক্ষ বন্য
শুভ্র হথর্ণ আর এগ্লেন্টাইন,
পত্রঘেরা দ্রুত ঝরে যাওয়া ভায়োলেট ফুলগুলি ।
আর, মধ্য মে-এর প্রথম কন্যা
আগত মাস্করোজ, সুধাভরা চিরদিন,
গুনগুন ক’রে বসন্তসাঁঝে ছুটিয়া আসিছে অলি ।
অন্ধকারে শুনি তোমায়, এবং অযুতবার
অতীতে পড়েছি আমি প্রিয় মৃত্যুর প্রেমেতে,
ডেকেছি প্রিয়নামে গেঁথে কবিতায় কতবার
বলেছি আমার স্নিগ্ধ-সচল শ্বাসখানি নিভাইতে ।
এখন ভাবি এই ক্ষণেতে সুখের মৃত্যু হবে,
মধ্যরাতে স্তব্ধ হবো সকল বেদনাহীন,
যখন তোমার আত্মা দিচ্ছ ছড়িয়ে চারিধারে
গভীর আনন্দ-উৎসবে!
তখনো তুমি গাইবে, যখন হব আমি শ্রবণহীন_
তোমার শোকগীতির কাছে হব ঢেলা মৃত্তিকার ।
অমর পাখি! নওকো তুমি মরণের তরে,
লোভী উত্তরাধিকারী পারেনা তোমায় মাড়িয়ে যেতে ।
যে গান আমি শুনছি এ ক্ষয়িষ্ণু রাত্তিরে,
রাজা ও প্রজা সকলে সে সুর শুনেছে অতীতে ।
হয়তো এ একই গানে পড়েছে কথা মনে
ঘরের লাগি উঠেছে বিষাদ ভরে রুথের বুকে,
অশ্রু ঝরেছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিদেশ-বিভুঁই মাঠে;
এই একই গান হয়তো কোনোখানে
মায়াভরা কোনো জানালা খোলা সিন্ধুর অভিমুখে
উত্তাল ঢেউ, পরিত্যক্ত মায়ার রাজ্যপাটে ।
পরিত্যক্ত! এই কথাটি, যেন কোনো ঘণ্টার মতো
বলছে আমাকে আমার থেকেই ফিরে আসতে দূরে !
বিদায়! কল্পনা কভু পারে না ঠকাতে তত
যদিও সে জানি প্রতারিকা পরী বিখ্যাত দূরে দূরে ।
বিদায়! বিদায়! স্নিগ্ধ তোমার গান যায় চলে_
মাঠ পেরোলো, ঝরনা পেরিয়ে যায়
পাহাড়ের পাশ দিয়ে; সেটি সমাধিমগ্ন হলো
পরবর্তী উপত্যকার গভীর বনাঞ্চলে___
এটা কি ছিল দৃশ্য, নাকি স্বপ্ন শুধু হায় ?
হারালো সুর; জাগছি নাকি ঘুমিয়ে আমি বলো ?