এই কবিতাটি কবি জন কিটস্ এর একটি বিখ্যাত লেখা । অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম । ওডের যথার্থতা ধরে রাখতে মূল কবিতার অন্ত্যমিল পদ্ধতিটিই ব্যবহার করা হয়েছে ।।
হৃদয় আমার বেদনা বিধুর, অসারতা ধরে আমার চেতনাকে,
যেন করিয়াছি হেমলক আমি পান ।
অথবা করেছি শেষ পুরো আফিমের পেয়ালাকে
একমুহূর্ত আগে, লিথির জলে ডুবে গেছি আপ্রাণ ।
তোমার ভাগ্যে ঈর্ষা নয়কো এ যে,
বরং তোমার সুখে সুখী হয়ে যাওয়া__
তুমি বনপরী সূক্ষ্ম ডানা নিয়ে
গীতিময় কাননেতে
সবুজ বীচের অগণন সব ছায়ায়
কণ্ঠভ’রে যাও মধুগান গেয়ে ।।
যদি পাই এক চুমুক দ্রাক্ষাসুরা,
যা, শীতল মাটির অতল গভীরে বহুকাল ধরে রাখা,
যাতে আছে দেবী ফ্লোরার মহিমা, গ্রামের সবুজ ভরা,
প্রভেন্স-নৃত্য গীত এবং খুশী রোদ্দুর মাখা ।
ও, যদি পাই এক পেয়ালা উষ্ণ দক্ষিণের,
সত্যে পূর্ণ যেন রক্তিম হিপোক্রিন,
কিনারায় চোখ মিটমিট করে পুঁতির মালাগুলি,
কিনারাটা যেন আরো রঙ্গিন ঢের;
তাই পান করে ছেড়ে যাবো এ জগত দৃশ্যহীন,
তোমারই সঙ্গে গভীর বনে হারাবো সকল ভুলি__
হারিয়ে যাবো বায়ুর ভেতর ভুলে যাবো সেইসব
যে সব তুমি পাতার ভিড়ে কখনো পারোনি জানতে,
ক্লান্তি, রোগ আর চিন্তার বৈভব,
হেথা একে-অপরের পাশে বসে সব, হাহাকার রব শুনতে ।
যেথা বৃদ্ধের সব চুল খসে পড়ে, পক্ষাঘাতে ক্লিন্ন,
যেথা যৌবন হয় জীর্ণ-শীর্ণ আর মৃত অবশেষে,
যেথা ভাবনা যত আসে সব বিষাদের ভাবনারা
আর চোখ হয়ে থাকে খিন্ন,
যেথা সৌন্দর্য পারে না রাখতে জ্যোতিও তার শেষে,
নতুন প্রেমের যত আশা সব মুহূর্তে হয় হারা ।।
দূরে! দূরে! আরও দূরে যেতে চাই,
তবে_ ব্যাক্কাস কি তার সারথির সাথে নয় ।
বরং ভেসে কবিতার পাখনায়,
যদিও চেতনা প্রতি মুহূর্তে বাধা দেবে নিশ্চয়_
তবু তোমারই সঙ্গে যাই! রাত্রি কোমল অতি,
আর হর্ষিত চাঁদ-রানী বসিয়া সিংহাসনে,
তারই চারপাশে দেখি তারা পরীদের মেলা ।
কিন্তু এখানে নেইকো কোনো জ্যোতি,
শুধু, স্বর্গ থেকে আসা বাতাস ক্ষণে ক্ষণে
শ্যাওলা ঘেরা ডাল সরিয়ে দেখায় আলোর খেলা ।
এখনো অসমাপ্ত, চলবে.........