গ্রীষ্মের পদানত ভূমি
সরসীত করিলে যে তুমি ।
থামাইলে রুদ্রের বীণা সৃজনের মল্লারী সুরে ।
জনহীন প্রান্তর আজি ভরিয়াছে হরিতাঙ্কুরে ।
অমৃতে আপ্লুত ধরা
ঘুচায়েছে গ্রীষ্মের জরা,
দিগন্ত বিস্তৃত মরু, হয়েছে সে আজিকে সরসা,
বরষার ভরসার বলে বিস্মৃত অতীতের দশা ।
মৃদঙ্গঅন্বিত ঘনা
আনে নূপুরের মূর্ছনা,
ছুটে চলে অলকার পানে সাথে নিয়ে যক্ষের ব্যথা,
খুঁজে ফেরে কুবেরের দেশে যক্ষবধুরে হেথাহোথা ।
নতুনের অভিসারী মন
খুঁজিতেছে নতুন জীবন,
গ্রীষ্মের বিষজ্বালা ত্যাজি বরষার সুধারস চাই,
তাই খুঁজি নতুনের সুর জগতের প্রাণসত্তায় ।।