আলসে সূর্য আদর পেয়ে
বুজলো যখন চোখ,
আমার তখন বক্ষ জুড়ে
কালো আধারের শোক।
ভুলেই গেছি গল্প আমার
বুকটাও বেশ কাপে,
শকুনগুলোর ক্ষুধা ভীষন
পোড়ায় দেহের তাপে।
সাজতে বসে আয়নায় দেখি
রক্ত মাংসে পাথড় মূর্তিখানি,
হায়নাগুলো কামড় বসায় যখন
টাকার দাপোট মুছিয়ে দেয় গ্লানি।
পরিচয় কি! সেতো ভুলেই গেছি
ধরলো যেবার পাঁচ পশুতে মিলে,
তবুও ভালো যাবার আগে ভোরে
শ'দুই টাকা এনাম দিলো তুলে।
ওই টাকাতে পেটের শান্তি
তাতে কি আর দেহের ক্ষুধা মেটে,
পরের রাতে আবার গেলাম
খাদ্য হয়ে পশুগুলোর খাটে।
আগে থেকেই বলেছিলো
করলে খুশি হাজারটাকা বটে,
তাতে ঘরে জ্বালবো বাতি
খাবার দিবো ছোট্ট দুটি পেটে।
কিন্তু সেদিন পারলামনা
শরীরটা ঠিক দিচ্ছিলোনা সাড়া,
খাটের পাশে ওষুধ দেখেই বুঝলাম
হাজার টাকা আজকেও হাত ছাড়া।
অন্ধকার এ শহরটাতে
এতো এতো কুকুর পথে
কজন বোঝে পেট চালানোর জ্বালা,
বুঝলো কিনা রাত প্রহরী
ষাটের চেয়েও বয়স ভারি
পঞ্চাশ টাকায় ভরিয়ে দিলো ঝোলা।
এ টাকাতেই মিলবে রুটি
সাথে ছোট্ট বিষের শিশি,
ভোরের আলোয় বিলিন হবে
তিনটে মুখের মলিন হাসি।