যৌবনের ক্লেশ কায়ার মধ্যে যখন সিদ্ধ হয়,
যেন আগ্নেয়গিরির অগ্লুতপাত উদ্ভব হয়।
হৃদয়-স্থানে তীক্ষ্ম ব্যথা অনুভব হয়।
দেহাংশের সমুদায় আবেগ অনুপবিষ্ট হয়।
আবেগের তাড়নে সমগ্র বপু,
যেন কৃশানুর অভিপ্রায় জ্বলে উঠে;
এ প্রহারের ক্লেশ অসহিষ্ঞু।
ধীরতাহীণভাবে প্রবৃত্তি নিমগ্ন হয়ে,
সন্নিকটে পেতে চায় মনোজ্ঞ কান্তা(সুন্দরী রমনী)।
তাকে পেলে অবয়বের সমগ্র যন্ত্রণা,
যেন কিয়ৎক্ষণের মেধ্যে অবসান হবে।
কিন্তু হৃদয়ের এ অনুজ্ঞার সম্মুখে,
প্রাচীরের ন্যায় দন্ডায়মান হয় বিবেক।
বিবেক উৎকন্ঠে তার বক্তব্য ব্যক্ত করে এভাবে-
অপরাধ হবে, পাপ হবে,
স্বীয় সুবৃত্তকে কিঞ্চিত স্বাচ্ছন্দ্যের নিমিত্তে,
ধুলিষাৎ করে দিও না।
নয় সমগ্র দিবস নিজেকে,
অপরাধী অনুমান হবে।
বিবেকের এ ইতিবাচক বক্তব্যে,
আবেগ মন্থর গতিতে নিস্তেজ হয়ে যায়।
ফলে মরুর দহন অসহ্যনীয় ক্লেশ,
মাথা পেতে নেয়।