তোমার কাছে আসার পথটা যেনো দীর্ঘ হয়ে যায়
তোমার ব্যাকুলতায়
কখন সামনে পাবো তোমায়!
তুমি মৃদু হেসে দিয়ে হাতটা টেনে আঙুল ধরবে আমার!
ভীষণ অপেক্ষাতে মাত্র মিনিটের পথ
যেন মহাকাল অপেক্ষার শামিল।
ক্লান্ত ঘাম চাহনিতে বসে
সতেজতা এনে দেয় তোমার হাসিতে।
বর্ষার জোড়াপদ্মফুলের ভেজা পাপড়ির উল্লাস
তোমার হাসিতে মিশে থাকে
টুপটাপ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে যেমন হেসেহেসে চেয়ে থাকে,
তেমনি তোমার মায়ামুখে ফোটে থাকে সদা পদ্মফুল।
গোলাপকলির উদ্যম কৌতূহল
হাসির প্রতিটি বিন্দুতে বিন্দুতে;
সুকৌশলে গোলাপ তোমার হাসিতে জায়গা করে আছে।
সেদিন কৃষ্ণচূড়া আন্দোলনে
খুঁজে পেলাম সৌন্দর্যের মিল
তোমার হাসিতে জেগে ওঠা গালের রক্তিম আভা
যেনো কৃষ্ণচূড়া ফুলে গিয়ে বসেছে।
আমি পাগলপ্রায় বহুবার দেখেও
মিটাতে পারিনি মনের ক্ষুধা।
হাসির উচ্ছ্বাসে কাশবনে ওঠে ঢেউ
দখিনা বাতাসে পড়ে যায় সাড়া,
পক্ষীকুলে নামে কোলাহল,
আমার মাঝে নীরব নিস্তব্ধতা।
শুধু দেখে যাই তোমাকে। সুচারিণী তোমার হাসিকে।
আমি দেখি তোমার হাসি গোধূলিতে
নিষ্পাপ নির্মল সে হাসি।
শিশির রৌদ্রের মিলনে এই হাসি গিয়ে মিলে
সূর্য চন্দ্রকে আলো দানের মতো,
তোমার হাসি উপহারে
জগতের হাসিতে সৌন্দর্যতা এসেছে।
স্বপ্নেও খুঁজে ফিরি অনবরত তোমার হাসি।
একপৃথিবী হাসি
একমুঠো হাসি
এক চিমটি হাসি হলেও চলবে।
তবে তোমার হাসি চাই।
তুমি জুনাইরা হাসিটা এমনি রেখো
আমি যেনো প্রত্যহ নেশা নিতে পারি
ডুবে যেতে পারি অক্ষয়ের মাঝে
যেন মাতাল হতে পারি
এই ধরণীর শ্রেষ্ঠ মাতাল।
১৩ সেপ্টেম্বর,২০১৮
(কাব্যগ্রন্থ-সম্ভাষণ)