গতরাতে যখন এসে মিললে উড়ো চিঠির মত
পুকুরে উঠেছিল ঢেউ শত শত।
কি জানি কি মনে,
জুবাইদা, গোপনে তোমার ওষ্ঠ জেগেছিল।
লেগেছিল বাতাস কালো মেঘে
চঞ্চল ভ্রমরের মত ছিল তোমার ঠোঁটের গতিবিধি;
সমুদ্রঅবধি পড়েছিল সাড়া।
তুমি যেন জেকে বসেছিলে দুরন্ত ঘোড়ার পিঠে
মিঠেপানিতেও তৃষ্ণা মিটানোর কোনো নাম ছিল না
তোমার কোনো অবিরাম ছিল না
ছিল না তাড়া, ছিল না কোনো অভিযোগের অনুনয়;
ছিল নিঃশ্বাসের উপরিপাতন
খর জিভের গাঢ় উদ্দীপন;
পতন আমার গিরিখাতে
সময়ের হলুদ অজুহাতে
ভালবাসা নীরব দাঁড়িয়েছিল
হারিয়েছিল যেন জীবনের অবলীলায়।
তোমার যেন কোনো কাল ছিল না
সমুদ্র নায়ে পাল ছিল না
দোপাটি নেশা মুহূর্তই যেন শেষ
তাই আমাকে তোমার চিবিয়ে খাওয়ার ছিল সফল প্রয়াস।
উচ্ছ্বাস ছিল তোমার বক্ষঘাটিতে
নেশা ছিল তোমার ঠোঁটের পরিপাটিতে;
আমার জমানো আদুরে দুষ্টু পরশে
তোমার সুষ্ঠুনিতম্ব ভয়াবহ আপোষে
ধীরে ধীরে নীড়ে নাও ফিরেছিল মিলনের সমুদ্রতট;
তোলপাড় তোলপাড়
চুম্বনে চুম্বনে নেশা ভেঙে চুরমার
বারবার ভূমধ্যসাগরে ভুল থামাতে নামিয়েছিলাম ঠোঁট।
১১ মে ২০২১
(কাব্যগ্রন্থ – সম্ভাষণ)