প্রথমাংশ দ্বিতীয়াংশ একযোগে দিলাম

প্রথমাংশ

নীহারিকা, তুমি আমার মেঘবালিকা, নীহারিকা,
ভাবনার অসীমরেখায় তুমি ভালোবাসার প্রলয়শিখা।


আলো আঁধারের সুখ, তোমার মায়াভরা চন্দ্রমুখ,
স্বচ্ছ সরোবরে অনিন্দ্য ঝিনুক, প্রত্যহ প্রথম দর্শনে
ক্ষণিকে শূন্য হৃদয়, খুশির জোয়ারে টুইটুম্বুর হয়
আনন্দ বিশালময়, শতো শতাব্দীর প্রবল বর্ষণে।
পারিনা দিতে তর্জমা, মুখ যেন গৌর চন্দ্রিমা,
ফুলে পাই নাকো খুঁজে উপমা, লতা কুমারিকা
নীহারিকা, তুমি মোর অমরাবতী, মেঘবালিকা।


লালে রন্জিত অধর যুগল, যেনো  মুক্তোর খোল,
হৃদয়ে বাড়ায় কোলাহল, প্রত্যহ উদ্দীপ্ত প্রত্যুষে,
সাহস করে প্রকট, দুষ্ট ভাবনা গুলোরে করে জোট,
ইচ্ছে, দুঠোঁটে ভিড়িয়ে ঠোঁট, অমৃত নেই শুষে।
কপাল তোমার চন্দ্রের চূড়া, নাক যেন বদ্বীপ জুড়া,
কেশের গন্ধ অমৃত সুরা, কর্ণ পাহাড়ি লতিকা।
নীহারিকা, তুমি আমার স্বপ্নচারিণী মেঘবালিকা।

দ্বিতীয়াংশ

তোমার স্নিগ্ধ কুন্তল, কৃষ্ণ মেঘের কোলাহল,
যেন গোলাপের সুগন্ধ নির্মল, উষ্ণ বায়ুর পরশে,
কখনো বেণী করা চুল, কখন খোপায় ফুল,
এলোকেশ করুণ অতুল, ঢেউ খেলে যায় হৃদয় আরশে।
কেশ সুগন্ধের বিষে, হারিয়ে ফেলি দিশে,
কেশে যেন আছে মিশে, জুঁই, চামেলী, গন্ধা, যূথিকা
নীহারিকা, তুমি আমার সুকেশী, মেঘবালিকা।

শিমুলের তুলো যেন গাল, লজ্জ্বায় বেজায় লাল,
আমি বড় মত্ত  মাতাল, ছুঁয়ে দেওয়ার আগে।
টোল যেন শিমুলের ফুল, বুঝি দিয়ে যাবে হুল,
নয়তো দন্ড দিবে শূল, রাগে অনুরাগে...
আমি অবাধ্যের অনুসারী, আমি কি শূলের ধার ধারি
পারলে আরো রাগাতে পারি, তোমায় শারিকা,
নীহারিকা, তুমি আমার রাগিনী, মেঘবালিকা।


১৬ অক্টোবর, ২০১৪