রাধুনীর এবং নাবিকের পরিচয়
নানারকম মশলাপাতি আর টক সহযোগে
হাড্ডিসুদ্ধ মুরগী সিদ্ধ করে দেওয়ার উপভোগে
তীর্থদলের সাথে ছিল একজন বিশিষ্ট রাধুনী
এক চুমুকে চিনতে পারে কোন মদ লন্ডনী।
পারতো রোস্ট ও সিদ্ধ করতে, আরো পারতো কাবাব
ভাপে সিদ্ধ, পিঠে ভাজতেও ছিলনা তার জবাব।
তার পায়ে ছিল এক কালশিটে পরা বিদঘুটে ক্ষত
সেটা দেখে হয়েছিলাম আমি খুবই মর্মাহত।
গুণে সেরামানের সাদা পুডিং তৈরি করতে সে খাস।
এক নাবিক ছিল তীর্থদলে যে করতো পশ্চিমে বাস
আমি যতদূর জানি সে এসেছে ডার্টমাউথ থেকে
এসেছে সে ছোট এক টাট্টু ঘোড়ার পিঠে জেঁকে।৩৯০
উলেন কাপড়ের আলখিল্লায় তার হাঁটু ছিল ঢেকে
নাবিকের ঘাড়ের সাথে বাঁধা এক অদীর্ঘ রশি থেকে
ঝোলানো ছিল বগলের নিচে একটি ছোরাটে;
গ্রীষ্মের দারুণ রোদে তার রং হয়েছিল তামাটে।
এবং সে নিশ্চিতভাবে একজন আনন্দ উচ্ছল সহচর
যখন বুর্দোয়াক্স থেকে মদ আসতো,ব্যবসায়ী ঘুমানোর পর
তখন সে অনেক মদের বোতলের ছিপি রাখত খুলে
কোনো কিছুর ধার ধারে না, মানে না নিয়ম নীতিমূলে।
যদি কোনো যুদ্ধ করতো এবং যুদ্ধে জয় লাভ পেত
তবে বন্দীদের সবাইকে সে হাঁটিয়ে নিয়ে যেত।৪০০
কিন্তু ঠিকমতো জাহাজ চালনা, জোয়ার ভাটার জ্ঞান
সমুদ্র স্রোত, বিপদ-আপদ, বন্দর, চাঁদের অবস্থান
নির্ণয়; এই সব নিজের কাজের বেলায় সে হিসেব যক্ষ
হাল থেকে কার্থেজ পর্যন্ত ছিল না কেউ তার সমকক্ষ
যেকোনো অভিযানে নাবিক সাহসী দূরদর্শী ভারি
প্রবল ঝড়ের বাতাসে তার অনেক উড়েছে দাঁড়ি।
সে ভালো করেই জানতো কোথায় কোন পোতাশ্রয়
গটল্যান্ড দ্বীপ থেকে ফিনিস্টের অন্তরীপ হয়
এবং বৃটানি এবং স্পেনের প্রত্যক নালাও জানতেন।
নাবিকের এক জাহাজ ছিল। নাম ছিলো ম্যাগডেলেন।