হাহাকার। তেল নেই।
তেলের বাপ মারা গেছে।
তাই উৎপাদন কমে গেছে।
শেষকর্ম দেখার জন্য
বিদেশী বাপ গাছের ডগায় উঠে,
দেশী সৎ বাপ সুযোগ নেয়,
দেখতে থাকে সৎ সন্তানের পাগলা নাচন।
সৎ সন্তানেরা তেলের বদলে-
খায় পানি আর পানি।
ডিমোস থেকে এলো এক উড়ো চিঠি
টাইটান থেকে তরঙ্গবার্তা;
বৃহস্পতি গ্রহ থকে এলিয়েন এসে
গবেষণা করে সত্য সন্ধান দিলো,
খুঁজে পেলো তেলের খনি।
বিছানার নিচে যত্নে তেল চাপা রেখেছে
শয়নগর্ভস্থ মালিক হানিফ মিয়া।
পিরামিডের ভিতরে থাকা মমিরা জাগ্রত হয়ে
তীব্র আওয়াজ তুললো,
কি ব্যাপার হানিফ মিয়া, কি ব্যাপার?
শ্রদ্ধাভাজন হানিফ মিয়া বলল,
এসব আমার বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি
কইয়ের পেট থেকে সংগৃহীত তেল,
এখানে লুকোনোর কিছু নেই
আমরা যুগ যুগ ধরে এসব তেল দিয়ে
ওযু করি;
থালা বাটি মাজি;
এবং গোসলও করে আসতেছি।
এসব আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রের পৈত্রিক সম্পত্তি।
দেবী ভেনাস তার অনুসারী সন্তানদের উদ্দেশ্য ভাষণ দিলো
এ সম্পত্তি সবার
আর প্রাকৃতিকভাবেও এখন আমরা সমৃদ্ধশালী হতে চলেছি।
২৮ মে, ২০২০
(কাব্যগ্রন্থ- বিষফোঁড়া)