লাবণ্য চলো রৌদ্রস্নানে হই ফণীমনসা নয়তো সূর্যমুখী
পৃথিবীর চাহনি দিবে উঁকি
তোমাকে দেখে
সুগন্ধি মেখে
সৌন্দর্যে জড়াবে প্রকৃতি।
নয়তো বটবৃক্ষের ডালের বসে থাকা দুই দাঁড়কাক
নয়তো শূন্যে ভাসমান দুই গাঙচিল
অনাবিল ছন্দে জীবনানন্দে মেঘের সাথে বসবাস।

চলো শিশিরস্নানে
ভেজা দূর্বাঘাসে বিচরণে আলোড়নে
মিছিলে মিছিলে প্রেম যাতাই
মাতাই গা
শিরশিরিয়ে যাওয়া বায়ুকে
সম্ভাষণের স্বল্প আয়ুকে
ইতিহাস করে যাই।

কুয়াশাস্নানে হই কাশবন নয়তো কাশবনের দোল
হিল্লোল কল্লোলে আমাদের সুর,
যেখানে ভরপুর উচ্ছ্বাসে জীবনের প্রলয়।

অমাবস্যাস্নানে আঁধারে মাখামাখি
কোনো বৃক্ষের আবডাল
নয়তো হুতোম পেঁচা হুতোম পেঁচী বিলের কদমডালে
নয়তো সর্প সর্পিণীবেশী
কামনা অন্বেষী নটোরাজ-বধূরাণী ধূধূ প্রান্তের আলের পর।

জোছনাস্নানে কোনো বিলের জলে রুই রুইিনী সেজে
সস্থীর সতেজে ভাসমান পদ্মের ধারে করি খুঁনসুটি
কুটিকুটি জোছনায় লজ্জার ধাঁচে পুলকিত হই।

নয়তো চলো সমুদ্রস্নানে
পাহাড়ঘেরা কোনো সৈকতে
গোধূলি বেলায়
হাতে হাত রেখে জোয়ার জলে উচ্ছৃঙ্খল প্রেমিক প্রেমিকা হই।