কেমন আছো, হেমাঙ্গিনী ? ভালোই ত তাই না!
ভালো থাকার কথাই ছিল অবশ্য।
...............................................
গ্রাম্য পরিবেশ, সরুপথ, পথের ধারে বুনো ঝোপ
কাশবন, আর তুমি আমি
প্রান্তের পর গোধূলি জাগ্রত
রংমেখে আকাশের হাতছানি
আমি জানি
এভাবেই হেঁটে যেতে পারবে শ্বাশত বছর।
তোমার জ্বলজ্বল চোখ,
ওড়নার আঘাতে বহমান বাতাস
আমি ধূর্ত পলকে তোমার গ্রীবাদেশ দেখি।
হঠাৎ আঙুল স্পর্শে তুমি আমি
এ যেন ভূলোক দ্যুলোকের প্রথম মিলন
তুমি মৃদু হাসি হেসে ভিঞ্চির ইতিহাস জাগ্রত করে দিলে।
ধূলোমাখা সরুপথ, দুজন একে যাই পদচিহ্ন
আজ পথ ফুরানোর কোনো মানে হয় না।
হারিয়ে যাওয়ার সময় দরজায় এসেছে,
মহাকাল অপেক্ষামান।
তোমার খোলা চুলে বিদিশার শহর
সৌন্দর্য কোলাহলে ট্রয়ের পতন
আমি কানাছেলে পদ্মলোচন
তুমি পদ্মফুলে জীবনস্বপ্ন বুনি
শুনি তোমার প্রেমালাপ
অনেক দ্রুত কেটে গেলো আমাদের সাতটি বছর।
পড়ন্ত বিকেলে ধূলোমাখা সরুপথে
যেতে যেতে
প্রেমবিলাসে হারিয়ে যাই আমি
সামনের আরো সত্তরবছর তোমার সাথে কাটাতে চাই।
প্রান্ত শেষ, গোধূলি নিরুদ্দেশ
আকাশ ঘুমিয়ে পড়ে
তোমার যাওয়ার সময় হয়
হাতের উপরে হাত, অন্তিমস্পর্শ,
ভালোবাসার অন্তিমযাত্রা
ভালো থাকার গালগল্পে উল্টে যায় গতিপথ
ব্যবচ্ছেদ মনোরথ
ভূখন্ডে ধরে চিড়
পথধূলিতে নামে ঘূর্ণি
সমুদ্র শুষ্কতার দ্বারে
বুনোঝোপে জাগে আর্তনাদ,
তোমার কণ্ঠে করুণাকর বাণী, “সবসময় ভালো থেকো অনির্বাণ”।
……………………………………………………….
সতেরোটি বছর, বহুদিন, বহুদিন
বহুদিন পর আজ দেখা;
কেমন আছো তুমি, হেমাঙ্গিনী
কেমন চলছে সংসার?
২৮ এপ্রিল, ২০২১
(কাব্যগ্রন্থ- সম্ভাষণ)
কাব্যগ্রন্থ পরিচিতি
("সম্ভাষণ" কাব্যগ্রন্থটির বেশিরভাগ কবিতা সংলাপ নির্ভর, কখনো প্রেমিক-প্রেমিকার, কখনো সন্তানের সাথে পিতামাতার, কখনো অচেনা কারো সাথে)।