তুমি চারুলতা
কারুকার্যে দেবদারু তরু।
তরুরূপ সৌন্দর্য রংধনু স্বরূপ,
গোধূলির ধূপ নিশ্চুপ;
নিশ্চুপ মঠযুগল উরু;
উরু চুপে চুপে
নিতম্বের যোগসাজশে,
সরস গল্পগাছা বোনা শুরু।
সুরু চিত্রায়ণ শিল্পীতুলিতে ভ্রু আঁকা।
আঁকাবাঁকা ঠোঁটে ঢেউ ওঠে,
সমুদ্র ফুল ফোটে।
আমার নেশা ছোটে
তোমার অগ্র চিবুকে;
বুকে সুখে জেগেওঠা অনুপ্রাসরাগী কোমল পদ্মজোড়;
পদ্মজোড় বৃত্ত স্তনবৃন্তে সন্তপর্ণে হারায় অবাধ্য দৃষ্টি।
সৃষ্টি তুমি মহিমার দারুণ
অরুণ ছায়ায় তব কৃষ্ণমেঘকেশ করে খেলা।
খেলা পানে,
নেশা টানে,
নেশা খাবি খায়
নেশা গন্ধে জড়ায়
নেশা হারায়
তোমার চাহনির নীল গিরিখাতে;
হাসির অগ্ন্যুৎপাতে
আমি হাসি হাসি যাই নির্বাসন।
চারুলতা তুমি চারুকলা
যৌবনের খোলা অধ্যায়,
স্বরে কোকিলের ডাক;
মেঘডাকা বিকেলের মৌ মৌ ঘ্রাণ;
তুমি অঘ্রাণ, আঁচলে রেখে,
থেকে থেকে হেঁটে যাও।
তুমি চারুলতা, পাহাড়ি বনলতা
কথা কবিতার নির্ঝর, ঝড়।
নিঃশব্দ ঝড় তোলে তোমার হাতছানি
যেমন ফুলদানি পুষ্পিকার অপেক্ষামান-
ম্রিয়মাণ প্রায়।
তুমি চারু, কারুকার্যে দেবদারু তরু
তব প্রেম নেশায় আমি উত্তপ্ত মরু।
১২ ডিসেম্বর, ২০১৯
(কাব্যগ্রন্থ- সম্ভাষণ)