একদা এক দেশ ছিল
সে দেশে জিনের বাদশা ছিল
মাথামোটা জনগণ ছিল,
ছিল ক্ষুধার্ত ব্যাংক,
ছিল কিছু ফুসমন্তর জানা সাপুড়ে।
সবাই জানে ব্যাংকে টাকা রাখলে
সে টাকা বাচ্চা প্রসব করে
দিন দিনে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
রাজার টাকা, সিপাহীর টাকা,
কোতোয়াল, বিদূষকের টাকা,
মাথামোটা জনগণের টাকা
সাবধানীর টাকা, জ্ঞানী-গুণীর টাকা
গুরুর টাকা, সাগরেদের টাকা একে একে
এসে জমা পড়লো ব্যাংক নামক বড্ডকূপী ব্যাংকে।
একদিন ব্যাংকের বাবা মায়ের মায়া গল্প
শিয়ালের পন্ডিতের কাছে গচ্ছিত রাখা
কুমিরের বাচ্চা হ্রাস পাওয়ার মতোই
ব্যাংকের টাকা হাওয়া হয়ে গেছে।
কপাল পুড়লো হরিরামের
চোখে সরষে ফুল দেখলো বিধবা বিলকিস
মোথামোটা জনগণের কপালে পড়লো হাত।
পানিপোড়াতেও কাজ হলো না
দোয়া দরূদেও মুক্তির দিশা সময়সাপেক্ষ
যাদুটোনা ঝাড়ফুক করেও-
ব্যাংকের গভীরতা নির্ণয় করা গেলো না।
কোনো গিরিখাতে গিয়ে টাকা আটকে
পড়েছে কি না- তার জন্য
এক্স রে আলট্রাসনোগ্রাম করা হলো
তেজস্ক্রিয় রশ্মিতেও মুক্তি অসম্ভব।
জিনের বাদশা মাথা গুটিয়ে চলে গেলো।
তারপর এক গায়েবী আওয়াজ এলো
ব্যাংক সামান্য কিছু টাকা খেয়ে ফেলেছে।
খুব বেশি না, সামান্যই
এখন ব্যাংকেরও ক্ষুধা লাগে।
১৮ মার্চ,২০২১
(কাব্যগ্রন্থ- বিষফোঁড়া)