সময় জানেনা লগ্ন, স্রোতও মগ্ন
কোথা দিয়ে কোথা বয়ে যায়
সময় বিভেদ কোলাহলে, শূন্যগগন তলে
ইচ্ছে দলের বায়
ভাগ্য মরে শেষে, ছদ্মবেশে, অবশেষে
যেদিন আমার দেখা পায়
সেদিন মেঘঢাকা বিকেলে, সমান্তরালে
দুদণ্ড হেঁটেছিল অনামিকা রায়।
অনন্যাবেশী অন্বেষী অতসীর মিল
সমুদ্র ভেঙ্গেও ছিল নিশ্চুপ
বর্ণে বর্ণে যুদ্ধে নেমেছিলাম, সন্তরণে
ইতিহাস খামে খুঁজেছিলাম রূপ।
মহাকাল আঁধারের নিকষ কালোবিন্দু
তার গালে যত্নে নিয়েছিল ঠাঁই
খোলাচুল মহাপ্লাবনে, জোড়লাল কাঁকনে
ছিল যেন যুগ প্রতিমা-ই
যেন তার রূপ রেখা মিলেছিলো গিয়ে
পুব রক্তগোধূলি নীলিমায়
এক বিস্তীর্ণ বিকেলে
শান্ত চাহনিবেশে অনিমেষে, পাশে-
দুদণ্ড হেঁটেছিল অনামিকা রায়।
হাসিহাসি পাশাপাশি দুদণ্ড হেঁটেছিল
ছাউনি পরিচিতা অনামিকা রায়
মুহুর্তে গ্রীনল্যান্ড থেকে ফকল্যান্ড
সময় যেন ছিল নিরুপায়।
শতাব্দীর প্রেম দিয়েছিল মোরে, পুঞ্জি করে
যেন তার চোখ ইশারায়
প্রদীপশূন্যে, প্রেমপুণ্যে, জীবন হারিয়েছিলাম
আত্মাহুতির অবলীলায়।
উদ্বেল চিম্বুকচোখ উন্মুখে, হাসি হাসি মুখে
যখন সে ফিরে যায়
মায়া সভ্যতার মুমূর্ষু ক্রান্তিলগ্ন এসে-
বসেছিল আমার বসুধায়
যাই হোক, সেদিন দুদণ্ড তো হেঁটেছিল সাথে
বিভোরিনী অনামিকা রায়।
৩ ডিসেম্বর, ২০২০
(কাব্যগ্রন্থ - তোমার জন্য পদ্য নয়, গদ্য লিখেছি)