চাঁদে ধোওয়া উলুখাগড়ার বন মাড়িয়ে
আনন্দ আর উচ্ছলতায় দেখতে দাও,
তোমায় দেখতে দাও,
তোমার ধূলো-পা, তোমার তপ্ত-ছোঁয়া পায়ে
তবু ছাপ রেখে যায়, দাগ থেকে যায়
ফেটে পাথর-মাটি
ওই পলকা কিশোর পা’টি।

উলু খাগড়ার বন পেরিয়ে দিগন্তে যে যায় হারিয়ে
আমার নামটি ধরে ডেকে..
তোমায় দেখতে দাও,
যেই জগতে আবছা রাতে
কুটিল হাতে ধরতে গেলাম মায়া-পাখির ছায়া
সর্বনাশা ঘুমের পরিখা জুড়ে।

উলু খাগড়ার বন পেরিয়ে বাতাস হয়ে সে আশ্বাসে
তোমায় দেখতে দাও,
পাহাড়চুড়ো সাগর-নুনের ঢেউ জড়িয়ে
হু হু বেগে দেবদারু-ফুল মুকুট মাথে
আমার ভেতর হা-হুতাশের ঝড় সরিয়ে
আমায় বাঁচতে দাও।

উলু খাগড়ার বন পেরিয়ে, দীর্ঘ চুলে,
চামড়া ফেটে লাভার মতো রক্ত ঝোলে
তোমায় দেখতে দাও,
যেথায় আমার চোখের জলে
তোমার বুক ভেসে যায়
মন জুড়ে যায় কান্নাহাসির দোলায় দোলায়
জোয়ার আসে রুপো-রঙা বালির কোণায়
তা ছাড়া আর কোন উপায়ে মিলব বলো
তোমায়-আমায়?