॥পুড়ছে লাশটা ─ আমি-আর-তুই॥
আমার শহরে আজ রাত
ভিজে যায়, স্পর্শে কার
জল-ভেজা হাত।
বয়সের পাশে পাশে ছোটে।
দিশাহীন মজ্জা-মাংস-পেশী।
এদেরও কি মনের পাপ
আমার চেয়ে বেশি?
ক্যাফিন-নিকোটিন
ধোঁয়া হয় আঙুলের ফাঁকে।
ঠোঁটের অলখ পাকের বাঁকে।
সব মানুষের চোখে
দেখো, নিজের কান্না থাকে।
এইবার তোর চলার ছন্দে
আমার নামটা উহ্যই রাখ।
আজ-ভাবনার সন্ধিক্ষণে
না বলা যা-কিছু ভেসে চলে যাক।
আজ থেকে আর বন্ধু-আলো
আমার লেখা গল্পে নেই;
মন-খুশিতে উষ্ণ হতে
বন্ধু-রোদের ছোঁয়াও যে ওই
অনুভূতির আগুন-মুখে
পুড়ছে লাশটা - আমি-আর-তুই॥
................................মীজক
॥গহীনে॥
গহীনে গহনে ঝড় ওঠে
ঝরে পড়ে লালায়, প্রস্রাবে।
প্রতি তন্তুতে
ওড়ে ব্যথা, ওড়ে লিপি;
শিলালিপি চুরচুর তাণ্ডবে।
॥বৃত্ত ও বৃষ্টি॥
আশা-নিরাশার
বড়ো কাঁটা ছোটো কাঁটায় চড়ে
একবার ঘুরে আসতেই
সম্পূর্ণ হয় আস্ত এক বৃত্ত।
সে বৃত্তের হাতছানিতে
আর কেউ আসুক না আসুক
বৃত্ত এ অকাল বর্ষায়
বৃষ্টিই হতে চায়।
॥ঘুসঘুসে জ্বর হলে॥
যখন ঘুসঘুসে জ্বর দেখি গায়ে
পায়ের নীচে সবুজ ঘাসেরা
উত্তাপে নিথর হলুদ।
আমি ভালোবাসার জন্য কেঁচে গণ্ডুষ করি
চেনা আশ্লেষ আর নিরিন্তর শীৎকারে
বিস্ফারিত হতে থাকে দুই জানু, ক্রমাগত
সপাটে এক চড়ের ধাক্কায় ধুমড়ে ঘুরে পড়ি
অভাবী সময় আপন খেয়ালে মিটে মিটে হাসে।
॥কালের মায়ায়॥
কালের মায়ায় সময়ের ঘুরপাক
হিংটিংছট ভোলাবাবা পার করে দে
শ্রাবণে অবনী গগনে সুদূর
রূপ-আহরী মেঘ পাঠ করে
বসন্তসেনার কপালরেখা।
ধীরে ধীরে টানে-বেটানে খসে যাচ্ছে
মখমল জমানার ভারী পর্দা।
॥এ সময়ে – কে যায়॥
এই তো আগুন, ওই যে ধোঁয়া
এই তো চামড়া, ওই তো কাঁটা
আধো ঢাকা মুখে
ছায়াপথে আলো
গলে পড়ে পিচরাস্তা, ঘোরাল
পথ ঘেরে আদর-চাদরে
কোন সুখ ঢাকা মুখ?
পোড়াপায়ে ছাপ ফেলে
এ সময়ে – কে যায়?