আপনার গিরিগুহা

আপনার আপন কখনো হইনি'কো, আপনাকে বাসিনি ভালো
আপনাকে সঁপেছি পরে, আপনার আলয় রেখে আঁধার কালো।
লক্ষাধিক বছরের গিরিগুহা, অলক্ষ্যে মানব সভ্যতার কাছে
সূর্য যেখানে ব্যার্থ তার রশ্মি দিতে, সেখানেও দেখো প্রাণ আছে।
তেমতি আমারও প্রাণ আছে, সেখানে নেই আলোর প্রাতঃ
অলক্ষ্য গুহা লক্ষ্যে আসে, আমার আসেনা, কালোর সাথ।
সদাচার সকলের অনেকটা দূর, আবির্ভাবে কোনো বা ছলে?
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরে আপনার গুহার ভিতর, পাথরের জলে।
আগ্নেয় হয়েছে সৃষ্টি তলায়, আর তার উপরে পাথর গলে
সে আগ্নেয়তেই ডুবছি আমি সাঁতরিয়ে আহা, আহা জ্বলে।


কিভাবে লিখতে হয় তাম্বু ছন্দ?
প্রথমে চার লাইনের একটি কবিতা দেই

আপনার আপন কখনো হইনি'কো, আপনাকে বাসিনি ভালো
আপনাকে সঁপেছি পরে, আপনার আলয় রেখে আঁধার কালো।
লক্ষাধিক বছরের গিরিগুহা, অলক্ষ্যে মানব সভ্যতার কাছে
সূর্য যেখানে ব্যার্থ তার রশ্মি দিতে, সেখানেও দেখো প্রাণ আছে

এবার এই চার লাইনের মধ্যেই পাবো "তাম্বু"
প্রথম লাইনে পাঁচটি শব্দ আছে যেগুলোর প্রথম বর্ণ আ-কার,
যেমন
(আপনার/আপন/আপনাকে/বাসিনি/ভালো)
এই পাঁচটি শব্দের প্রথম বর্ণে আ-কার,

এরপর দ্বিতীয় লাইনেও একইরকম পাঁচটা শব্দ আছে যেগুলোর প্রথম বর্ণ আ-কার
যেমন
(আপনাকে/আপনার/আলয়/আঁধার/কালো)
দ্বিতীয় লাইনেও পাঁচটি শব্দ পেলাম।

এবং তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনে দু'টো দুটো করে পেলাম
যেমন তৃতীয় লাইনে (মানব/কাছে)
এবং চতুর্থ লাইনে দু'টো (প্রাণ/আছে)

তাহলে এই তাম্বু ছন্দ লিখতে হয় প্রথম ও দ্বিতীয় লাইনে পাঁচটা শব্দ থাকবে যেই শব্দগুলোর প্রথম বর্ণ হবে আ-কার
এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনে দু'টো করে শব্দ থাকবে যেগুলোর প্রথম বর্ণ আ-কার।

তবে প্রথম ও দ্বিতীয় লাইনে শুধু আ-কার জাতীয় শব্দ ব্যাবহারেই হবেনা, অন্যান্য ব্যাবহার হবে,
এবং তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনে শুধু দুটো শব্দ ব্যাবহার হবেনা যেই শব্দগুলোর প্রথম বর্ণ আ-কার। অন্যান্য ব্যাবহার করতে হবে।

অবশ্যই প্রথম দুই লাইনে পাঁচটি পাঁচটি ব্যাতিত কম বা বেশি হবেনা, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনে দুইয়ের কম বা বেশি হবেনা।

এইভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যত ইচ্ছে বড় করা যাবে।