ওষ্ঠ স্পর্শহীন কবিতা যেই কোনো ভাবে লেখা যায় তবে এই ধরনের কবিতা পাঠ করার সময় ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগেনা। পুরো কবিতা পড়লেও ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগবেনা, প+ফ+ব+ভ+ম এই পাঁচটি ওষ্ঠবর্ণ ব্যতীত লিখতে হয়।
সুন্দরও হে সুন্দরও হে, লক্ষ্মী ওগো কন্যা
হয়ে চৈতন্যোদয় উৎসুক হৃদয় হে অনন্যা
সুন্দরও হে কন্যা
ধরেছি ধর্ণা ধন্যা
ঝরেছি ঐ সন না।
গগনের শশধর জ্যোতি আলোর চেয়ে উজ্জ্বলে
রঙ্গন কাননের উজাড় করা সুগন্ধির তনুর নলে
সুগন্ধি ও জ্যোতির ছলে
ঝলঝলে, চঞ্চলে ধরণীর জলস্থল হতে শৈলরাজ
আহা, আহা, আহা সাজ
চিত্তরঞ্জনে নতুনত্ব নাজ
রাণী হে সুন্দরী কও কোথায় কই রাজ্যের রাজ?
নাও নাও হে সুন্দরী রাজ্যহারা রাণী
নাও করে রাজ হৃদয়ে, ঝরুক গ্লানি
শ্রান্ত ক্লান্তের অন্তরে দাও দাও এসে ছোঁয়া
দাও ছোঁয়া হে সুন্দরী কন্যা
সুন্দরও হে সুন্দরও হে, হৃদে যাই কী থোয়া?
নয়তো দেখো চির-শোয়া
নশ্চাৎ জিন্দেগী অচঞ্চলতায় ক্ষুন্ন
শূন্য শূন্য জিন্দেগী হে সহসা তুন্ন।
সুন্দরও হে কন্যা সুন্দরও
লক্ষ কোটি হৃদ গুণ জরও।
(কবিতাটি বিশ্বের প্রথম কোনো কবিতা যেই কবিতা পড়লে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগবেনা)
ওষ্ঠ স্পর্শহীন গান
ঢেউ খেলানো চোখ (মাত্রাবৃত্ত মূলপর্ব ৫)
আব্দুল মালেক
আহারে দিন সে কি করুণ সে কি কঠিন নিঠুর
অশ্রুনীরে গহীন হতে কণ্ঠ ছিঁড়ে কি সুর।
যায় তা তো না জ্বালা যাতনা, কত গিলেছি ঢোঁক
সুক্ষ্মতরও দুঃখ'তরে সে-কি গাইছে শ্লোক
ওগো) কেউ শোনেনা কেউ দেখেনা ঢেউ খেলানো চোখ।
আড়াল হয়ে অগোচরে গো রোদনধারা রোজ
কখনো এসে নেয়নি কেহ একটুখানি খোঁজ
একটুখানি সান্ত্বনাতে শান্ত যাতে হয়
যাচ্ছি ক্ষয়ে ক্লান্ত হয়ে কেউ তো কারও নয়
যোগ করিয়ে এতটুকুও নেয়নি কেহ শোক।
সুখের নাশে কষ্ট আসে দিনে দিনে অঝোর
দিনের আলো হয়েছে কালো রাত হয়েছে ঘোর
ধরণীতলে তলিত আলো আঁধারে সদা ঝোঁক
আতংকিত হিয়ায় আছে ওগো সে না কতক
আদৌ তো না লক্ষ্য দিল কখনো কোনো লোক।
(বিশ্বে প্রথম কোনো গান যে গান গাইলে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগবেনা)