সবুজ অরণ্যের এক অর্ধ মৃত বৃক্ষের মত
ঠিক দাঁড়িয়ে আছি। বছর বছরান্ত।
বাড়ন্ত ডগা, মুকুল চুষে রস খেয়েছে ছাতরা পোকা।
সামান্য বাতাসে অকালে ঝরেছে কচি ডগা,  মুকুল।
ছাল, বাকল-পাতলা স্তর খসে, শাখা প্রশাখা জীর্ণ -শীর্ণ।
ফুল, ফলহীন, সবুজ পাতার সমাহার বিহীন।
নামে মাত্র বৃক্ষ।
বিজন প্রান্তের পাখিরা তাচ্ছিল্য করে বসে অন্য বৃক্ষের শাখায়।
মৌমাছিরা পুষ্পরস না পেয়ে আগেই ছুঁটেছে অন্যত্র।
ক্লান্ত পথিক কিংবা কপোত কপোতীর মত
প্রেমিক যুগল এখন আর ছড়ানো শিকড়ে বসে না।
বৃক্ষ শীতল ছায়া দিতে ব্যর্থ।
একদিন আমার ন্যায় বৃক্ষের শৈশব,
   কৈশোর ছিল, ছিল ভরা যৌবন।
    এখন আমি বৃক্ষের অনুরূপ।
    বেঁচে আছি শুধু নাম মাত্র।
আজ বৃক্ষ কাঁদছে, কাঁদছে শৈশব, কৈশোর ;
কাঁদছে আমার অন্তর পূর্ণ মৃত্যুর আশে।