আমি আনুষ্ঠানিক প্রাণী!
নানা উৎসব অনুষ্ঠানে
দৃষ্টি কিছু ঢাকতে বা প্রকাশে।
যতই হেলা করি বাংলায় কথা বলতে
যতই নাক সিটকাই পান্তা দেখে
সবই ঢেকে দেই পহেলা বৈশাখে,
বৈশাখী শাড়ী-পাঞ্জাবি, আলপনা গালে
মঙ্গল-যাত্রায় ঢাকের তালে নেচে
জাহির করি আমিই সেরা বাঙ্গালি!
আমি আনুষ্ঠানিক প্রাণী!
অনুষ্ঠান করি নিজের নাক বাঁচাতে
বা আরো একটু উঁচা করতে,
অনুষ্ঠান করি মরার পরে
বা মেরে ফেলে।
শোকের অনুষ্ঠান কোথাও মিলাদ-মাহফিলে,
কোথাও গণ-স্বাক্ষর, শোক র্যা লী, ধর্মঘট
লোক দেখানো অনুষ্ঠানে
ঢেকে দিতে চাই হাতে লেগে থাকা খুনের দাগ।
কোথাও অনশন, মিছিল শ্লোগান
পোড়াই খুনীকে কুশপুত্তলিকা করে
মুছে দিতে মানবতার অভিশাপ।
হচ্ছে কি শাপমোচন না নীল হয়ে উঠছে সমাজ
সন্ত্রাস-দুর্নীতি সাপের বিষে!
জরিপ ছড়াতে অনুষ্ঠান করি_
দুঃশাসন বাড়ছে জ্যামিতিক হারে
বা কমছে কারো জরিপে;
প্রশ্ন তোলা বোকামি
যদিও গলদ থাকে জরিপের ভেতরে,
এসব আনুষ্ঠানিক কাজ!
আমি আনুষ্ঠানিক প্রাণী!
নিজেকে অনানুষ্ঠানিক বলতে চাই
ঘটা করে অনুষ্ঠানে,
আমি স্বতন্ত্র-নিরপেক্ষ হাতে রাখি তিন পক্ষ
এ আমার স্টাইল!
স্টাইল ফ্যাশন হলেও বোধে ধরে না
নির্লজ্জের মত সম্ভ্রম হারালেও
দুঃখ নেই সোনা,
চক্ চকে আবরণ জমকালো অনুষ্ঠান
পারফিউমে দূর হবে গায়ের গন্ধ!
অনুষ্ঠানে আমি এতই ডুবে আছি
জন্তু-জানোয়ার হতেও দ্বিধা করি নি!
আমি আনুষ্ঠানিক প্রাণী!