বাংলা, বাঙ্গালি,
মায়ের বুলির লাগি
আত্মত্যাজি অনুরাগী।
সালাম, রফিক, জব্বার, শফিক, বরকত
অনামিকা শত জন;
‘ভাষা-শহীদ’ নতুন শব্দে
অর্থ পেল অভিধান।
হারাবে অস্তিত্ব আমার মায়ের ভাষা!
কালেভদ্রে দুঃস্বপ্নে
চোখে গড়ায় জল,
হারিয়েছে যে তার দুঃখ অতল।
মাতৃভাষা অমৃত-ভাণ্ডার।

মুক্ত পায়ে, নির্ভয়ে দীপ্ত পদক্ষেপ,
বুকে শোক
অসীম তেজে মস্তক উচিয়ে মোদের,
বাংলা হেলায় বাঙ্গালি
ইংন্দি ফ্যাশন সাহেবী লেবাশ
অ-বাংলা প্রেমিক_
দানব-রাবণ-রাহুগ্রাস
বিনাশে মুঠোয় মুঠোয় অঙ্গিকার,
হে শহীদ, এই আমার পুষ্পমাল্য
শুধুই তোমার।

ভোরের পাখি আমার বাবা
উর্বর-উদার মায়ের বুকে
চাষ, বপন-রোপণ, ফসল কাটা;
তুচ্ছ করে হিম বারি
নিত্য করে প্রভাতযাত্রা।
সে বলেছে আমায়
অদ্য-রবি রক্ত মাখা,
আজ ৮ই ফাল্গুন;
শুধু যাত্রা নয়, প্রভাতফেরী।
চিন্তা-মননে, মায়ের সম্ভ্রমে
শ্রমে-ঘামে বুক চেতিয়ে
রক্ত দানের প্রেরণা,
আমার ভাষা বাংলা ভাষা
বিশ্ব মাতৃভাষা।