সত্যি লিখেছ তুমি,
আমি তোমার কেউ নই,
তুমিও আমার কেউ নও।
তুমি ছিলে না অতীতে_
আমি ক্রমশ জন্মাচ্ছিলাম
পিতৃ মস্তিষ্কে।
ছিলে না তুমি কোন এক সন্ধ্যায়
কোন এক মাঝ রাতে;
ছিলে না কোন এক ভোরে
কিংবা বর্ষণমুখর কোন ক্ষণে_
আমি এলাম
লক্ষ-কোটি বৎসরের যাত্রা ভেঙ্গে,
মা নামের কাউকে পাহাড়সম আঘাত হেনে
এ পৃথ্বীর বুকে যন্ত্রণা ফলাতে।
তুমি ছিলে না আমার নেংটা শৈশবে।
ছিলে না পলান টোক টোক খেলার ক্ষণে,
গায়ে কাদার কস্টিউম নিয়ে
ঝিলের বুকে মাছ ধরার ক্ষণে।
তুমি দেখনি আমায় পাঠশালায়
পাশের বেঞ্চে বসে আড়চোখে,
দেখিনি কখনো কান্না তোমার চোখে
আমায় হারানোর ভয়ে।
ছিলে না তুমি আমার লাজুক কৈশোরে।
দেখনি কখনো আমায়
কলেজ মাঠের বটের বেদীতে বসে।
ছিলে না তুমি আমার
আজব চিন্তায় বৈরাগী হয়ে।
চলনি কখনো
মাঠ-ঘাট-প্রান্তর-নদীর ধার
হাত রেখে হাতে।
ছিলে না কখনো
তাই খুঁজেছি তোমায়
শুধু খুঁজেছি তোমায়
এতটা কাল ধরে।
তুমি আজও নেই।
ভেবেছি আমি পিচ্চি যারে
সে তোমার অদৃশ্য দেয়ালের আড়ালে।
তুমি ভূতেও আসবে না,
থাকবে শুধু আলেয়া হয়ে।