শরতের মৃদু মন্দ শীতে
অতি ভোরে উঠে চাদর গায়ে জড়িয়ে
শিউলি ঝরা পথের ধারে দাঁড়িয়ে
ম্লান হয়ে পড়া ক্ষীণ চাঁদের দিগন্তে গড়িয়ে পড়া
পূব আকাশে ধীরে জেগে উঠা অপূর্ব রঙের খেলা
দুচোখ জুড়ে আজো ভেসে উঠে সে আমার ছেলেবেলা ।।
ধীর লয়ে জেগে উঠা সূর্যের আগমনে
ঝোপ আর গাছের ফাঁকে সোনালী রোদের লুকোচুরি
গাছের ডালে আর ঘরের চালে ছুটাছুটি করা পাখির কলরব
সে সুরের তান আর প্রকৃতির সেই রূপ
মুছে যায় নিক আজো রয়েছে মনের অতলে
মাঝে মাঝে উঁকি দেয় আবেশে করে মন বড়ো উচাটন ।।
সাদা লুকায়ে রাখি মনের এই আকুলতা
প্রকাশিতে পারি নাকো আজিকার এই পরিবেশে
সে যে অতি গ্রামীণ পুরাতন সেতো পিছুটান
সবাই ছুটিয়াছে অতি দ্রুত সামনের পথে
ছেলে মেয়ে নাতি পুঁতি যদিও জড়ায়ে রাখে মায়া ভরে
তারা তো পারিবে না বুঝিতে আমার মনের সে আকুতি ।।