সকাল থেকে নাগাড়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছে
পাশের বাসার গৃহিনী।
তার মুখ আজ রাষ্ট্রযন্ত্র হয়ে গেছে।
এখন কাঁচামরিচ, একটু পর আলু-পেঁয়াজ
পিয়নের মাইনে দিয়ে কিনে আনতে চাচ্ছে
আস্ত মিসাইল।

এ পাড়ায় এখন নিয়মিতই শোনা যাচ্ছে
অস্বাভাবিক সব চিৎকার, ঠিক মানুষের মত না।
ক্ষণে ক্ষণে বেরিয়ে আসছে বুনো শুয়োর
কোথা থেকে এল ওরা!

না বাস্তবতা, না নিয়ম, না সংবিধান-
কিছুরই ফারাক করতে চাইছে না কেউ।

এদিকে হাওয়া দপ্তর দাবদাহের খবর দিচ্ছে,
অথচ গলায় বরফ জমা থামছেই না।
যখন সংবিধানের অক্ষরগুলো অর্থ হারাতে থাকে
তখন মানুষের স্বর ক্রমাগত নীরবতার কুন্ডলী পাকিয়ে
স্বদেশ ত্যাগ করে।

এভাবেই, এভাবেই একে একে যেতে থাকে
যা কিছু মানুষের।

একদিন এরা সব ফিরে আসবে।
থেমে যাওয়া নাটক, ফকির লালন
লাশ হয়ে যাওয়া মালাউন।

প্রেমিকের সঙ্গে একটু একান্ত সময় কাটাতে
মাটি ফুঁড়ে ওঠে আসবে আমাদের বোন।
আরও অনেক বেওয়ারিশ লাশ
হিস্যা চাইতে আসবে, সময়ের।
শরীর জুড়ে নেমে আসা রাত সরিয়ে
নতুন সূর্য আনতে কুচকাওয়াজ করবে
সময়।

তখন বিচারালয়, রাষ্ট্রযন্ত্র নুয়ে পড়বে-
নুয়ে পড়বে তার ঔদ্ধত্য, অসভ্য-আবর্জনা।

বিকৃতির উল্লাস মঞ্চ ভেঙে গেলে
রক্ত মাড়িয়ে শূন্য রেখায় পৌঁছে যাবে
কবি, আলেম, ভবঘুরে-
আর যত পরিচয় আছে মানুষের।

স্বরযন্ত্র ক্লান্ত হলে, তুমিও পাশে এসে বসবে
রবীন্দ্রনাথের দুটো গান শুনবে বলে।