আমার আরাধনার দেবতা আজ পেলাম।
শ্যামল বর্ণের শীর্ণ দেহ তার ;
প্রাচীন গোঁফে জমা পড়া লালচে জং;
পৃথিবীর সভ্যতার পেট ছিঁড়ে এসেছে,
আড়াআড়ি বাঙলার সোনালী ধরায়।
সদা-সর্বদা গায় তাঁর গান
বিচলিত প্রাণ।
উৎসবের দিন আসে ভেসে
পূর্ণিমা মাখা দেশে,
তোমারেই জানাই আমি
সহস্র প্রণাম।
আমার প্রাণের ভেলা ডাকে
সন্ধ্যার আকাশে
লালচে-নীলে ঢাকা
নীলাম্বর বাতাসে।
আমি পূজিতে চাই তাঁরে
ধুতরা ফুলের তরে
শরতের মেয়ে লয় টেনে
আপনার সজনারে
মহালয়ার ক্ষণে।
পূরবের দিক করে উজ্জ্বল
কে ডাকে আপনারে
হরিৎ বনেতে?
সে আমার দেব-তুল্য
শুক্লা একাদশী ভেঙে
ভাগাড় ললাট ফেড়ে
হৃদয়ে বসেছে জুড়ে।
সে আমার মঙ্গলকাব্যে খুঁজা প্রেম
পবিত্র পুরুষ প্রেমিকা,
উদিত হয় অর্ধ সূর্যের দেশে
কুয়াশায় জমে
ধানের স্তনে স্তনে
মিঠা শিশির বেশে।
উদয়ন ক্ষণে পূর্ব গগনে
নিদ্রায় যায় ছেয়ে,
আবারো ফিরে নিশীথ ঘরে
প্রানে জাগায় ক্লেশ
নির্জর মর্মরে।