হে দুরন্ত দুর্বার সৈনিক, হে আগামী দিনের কিশোর ,
আমি এক মহাপুরুষের কথা জানি,
যার জন্যে বঙ্গ হয়েছিলো ধন্য, পেয়ে মুক্তির স্বাদ।
ছিলো
সবুজে সজ্জিত আমার সোনার বাংলা ;
চুষেছে, শুষেছে রস যতো আছে  
খেয়েছে চিবিয়ে ইংরেজের আমলা।
ধাপে ধাপে আসে আরো রাক্ষুসে বোয়াল
শোষনের লোভে, লোমহর্ষক ভাবে
বসিয়ে দিয়াছে তাদিগের ধারালো চোয়াল।

দেবদূতের পরম বরে আসিলেন বঙ্গ-পিতা    
বাহন যাহার ধূমকেতু আর কপালে অগ্নি টিকা ;
বাঁকা ঠোঁটে হাসিয়ে বিশ্ব, দুলিয়ে মস্ত শির
লাল-সবুজের মায়ায় জড়িয়ে ডাকিলেন, ' হে বঙ্গবীর,
আছে যাহা কিছু, নিয়ে নামো আজ
পালাবান পথ তো নাই, বাংলা আমার জননী গো তাই
মৃত্যু বরণিতে চাই। '

সে যে 'নজরুলের'ই ছন্দে দুলে
গোধূলি ঔ অক্ত কালে,
রবি'র তেজে জ্বেলে গো সুর
পরিয়েছেন মাল্য গলে।
শ্রোতার প্লাবন ঢলছে মাঠে
ঘাপটি মেরে নাই কেউ হাটে,
আকাশ-কুসুম কল্পনাতেও
মুক্তি তাঁহার কোলে দুলে ;
গগন পানে 'এক তর্জনী', রুষিয়া উঠিলেন দ্রোহীর তর
সেই তর্জনী'র লাগি-ই গো আজ স্বাধীনতা আপামর।  

গগন ফেড়ে নামলো মুক্তি, সবুজে ঢেকে উদ্যান,
লও সালাম, হে বঙ্গ-পিতা ' শেখ মুজিবুর রহমান '।