আজ বৈশাখের দিনে,
নূতন কুড়ি নাচছে মাথা মেঘ মাখা পবনে।
কামিনী তথা কাগজী বনে লাগছে খুশির রোল ;
কৃষ্ণচূড়া ডাকছে সবে তুলিয়া ফুল-ত্রিশূল।
পাকা ধানের গন্ধে ভরা আমার সোনার দেশ
মধু-সখা গাইছে যে গান নাড়িয়ে তুলে কেশ।
দূর্বাঘাসে লাগছে দেখো ধান-ঝরা জল-রাশি
মেঘের কোলে পিঠ পেতেছে রমজানের চিড়-শশী।
কলাপাতায় খুশি দুলে, অশ্রুতে আজ আগুন জ্বলে
কাজলা ঝড়ের মুখে পড়ে অন্ন ঘুমায় মাটির কোলে।
আউশ ক্ষেতের লাইল ধরে হাটছি একা মুক্ত পথে
সূর্য কিরণ পান করেছি হারাবো এই মৃদু স্রোতে।
হাটছি আমি আকাশ পানে,
বৃষ্টি জলে নেমেছে যে সে খন্ড রূপে মুক্ত মনে।
গগণ পেড়ে মেঘের তরে দৃষ্টি গেলো রৌদ্র দ্বারে,
শুশুক বনের পাখি উড়ে ফেলে দৃষ্টি মনের ভাঁড়ে।
মেঘের পায়ে নূপুর বাঁধা, নাচছে ঘনঘট খুশির রাধা;
কমলা সূর্য উঁকি মারে , মুখে তাহার মেঘের কাদা।
খালের ধারে ভেলায় চড়ে ফিরছে রাখাল রাত্রি ঘরে
কচি বাঁশের অগ্রে হাসি, গুড়ি তাহার কাদার সরে।