বিভীষিকা জ্বালা জ্বলে বুকে মোর শান্তি কোথায় পাই?
হীনম্মন্যতায় ধুঁকছে সকলে; ধর্ম চিবিয়ে খাই !
শান্তি নামের অনল জ্বেলে পুড়ছে ঘর-বাড়ি
তেত্রিশ কোটি নামছে ধরায় মুখ তাহাদের ভারী।
শান্তি আসুক, ভবে সবে মেলবে পাখা জোড়া,
হাইড্রোজেনের বোমায় এবার গুড়ায়ে তোড়া তোড়া।
রাসবিহারীর মিটাই মুখে ভাঁড় মশাইয়ের হাসি,
তাদের জোরেই আমাদের ছেলে ক্ষুদিরাম নেয় ফাঁসি।
শেখের ব্যাটার পানির ফোঁটা, মালাউনের জল ;
ঈশ্বর একা পাঁচিল দেখে কাঁদিছে টলমল।
সলিল গর্ভে খুদলো কবর কিশোর বৃন্দাবন,
সেই সুবাদেই হাসলো ধরার অসুর পিশাচগণ।
ভোগের ছেলের জাতি, ধর্ম, উপর-নিচুর রোষে,
সত্য পথের পথিক যিসাস ঝুলছে আজো ক্রুশে।
স্বপ্ন দেখিনা তাই,
আমার দেশের গরম শ্বাসে মানবতা আজ নাই।
সোনার বাংলা পুড়ছে দেখো গোঁড়া রোগের ছোঁয়ায়,
সোনার মানুষ গলে পুড়ে উড়ছে ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়।
পরের দোষে নরক জ্বালা, স্বর্গ নিজ কর্মে,
মানুষ চালায় ধর্ম আজ, খোদা চলে ধর্মে।