হতেও পারে এই বসন্ত মোর শেষ বসন্ত।
হয়তো,
আবারো কৃষ্ণচূড়া সাজবে সবুজ ফেড়ে মুক্ত বনের কেশে!
কিংশুকের লালে উজ্জীবিত হবে ফাগুনের গগনতল।
আবার হাসবে শিমূল, ধুতরা ফুলের ছদ্মনামে লিখবে তার রঙিন কবিতা।
ঘাসফুলের ঘ্রাণে মোহিত হবে চারপাশ ;
ফিরোজা রঙের মেঘ খেলবে দুস্তর মাঠের পিঠে।
বনলতার বনমায়ায় আবার জাগবে প্রেম হিন্দোল পথিকের বেশে।
গহীন বনে ফুটবে ফুল রবীন্দ্র সংগীতের রঙ মেখে ;
আবারও হাসবে পাখি, কুহুতানের বানের জলে ভাসবে কোকিল।
ফাগুন ছন্দে ধরবে কোলে অলক্ষ্য সব অন্তমিল।
হয়তো,
ফাগুন বনে আমের ঘ্রাণে দুঃখ মুছবে স্নিগ্ধ প্রাণে!
ভোরের পাখি কুসুম রোদে ভিজবে শিশির আস্তরণে।
চৈত্র খরা পিঠে ধরে আসবে আম কুড়ানোর দল,
টপটপানি ঘামের ফোটায় মিলবে তাদিগের সর্ববল।
আবারও সেই রবীন্দ্র সরোবরে গাইবে গান,
আঙুলের ফাঁকে আঙুল রেখে হাঁটবে নতুন চাঁদের দেশে।
সেই জোছনায় ভিজবে এই গোটা পৃথিবীটা, বহুদিনের দুঃখ ধুয়ে।
আবার জাগবে দেশ,
গোধূলি দেখার নিমন্ত্রণে আসবে সকল তরুণ দল,
হাজারো রঙের মাতাল বেলায় আবার সাজবে সন্ধ্যা।
লক্ষ কোটি বছরের পিপাসা নিয়ে আমিও আসবো সেথায়,
হয়তো থাকবো ধানপাতায় জাবপোকার সনে !
নয়তো ডানা মেলে উড়ে থাকা বাড়ি ফেরার রণে।